আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে একাত্তরের রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার জন্যে তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে যুবলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, ৫৪ বছরের বাংলাদেশের ৩০ বছরের অধিক সময় ছিল জামাত-বিএনপি-স্বৈরাচারের সরকার। টানা চার মেয়াদে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে গ্রামগুলো শহরে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ১০-১৫ বছর আগে ছনের ঘরে থাকা মানুষগুলো এখন আধুনিক ঘরে বসবাস করছেন। পাঁচ বছর আগে যারা বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন, তারা এখন দেশে গেলে পরিবর্তন দেখে বিস্মিত হন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উন্নয়নশীল দেশের সরকার প্রধানদের বলেছিলেন যে, উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশের শেখ হাসিনাকে ফলো করুন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বিশ্বের তিনজন সৎ প্রধানমন্ত্রীর একজন উল্লেখ করে মির্জা আজম বলেন, সারাবিশ্বে সবচেয়ে সাহসী প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা নাম্বার ওয়ান। শেখ হাসিনার নতুন স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা। এজন্যে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে একটি পার্টি হলে এ সমাবেশে সূচনা বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মিসবাহ আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম। আলোচনায় অংশ নেন হাজী এনাম, আব্দুর রহিম বাদশা, রেজাউল করিম, এম এ করিম জাহাঙ্গির, শাহাদত হোসেন, শেখ জামাল হুসেন, শেখ আতিক, নজমুল হক, জিল্লুর রহমান, সাইদুর রহমান শেলী, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
মির্জা আজম যুবলীগের নতুন কমিটি ত্বরান্বিত করার আশ্বাস দেন এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগেরও নতুন কমিটির দাবি জানানো হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
