ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য পোস্টাল ভোটিং (আইটি সাপোর্টেড) ভোটার নিবন্ধন মোবাইল অ্যাপ ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ ও ভোটার নিবন্ধনের বিস্তারিত জানাতে সেমিনারের আয়োজন করে জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস।
রবিবার রাজধানী বার্লিনের দূতাবাসের মিলনায়তনে সেমিনারে উপস্থিত সবর্স্তরের প্রবাসীদের সামনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিস্তারিত তুলে ধরেন জার্মানিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন ও দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামান।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, এই অ্যাপে নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আশা করছি জার্মান প্রবাসীরাও প্রথমবারের মত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। জার্মান প্রবাসীরা ভোট দেয়ার মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
প্রবাসীরা অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে এনআইডি নম্বর ও বর্তমান ঠিকানা জমা দেবেন। তফসিল ঘোষণার পর তাদের জন্য আলাদা ভোটার তালিকা প্রস্তুত হবে। ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায়। ব্যালটে শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতীক থাকবে, প্রার্থীর নাম নয়। ভোটার ব্যালটে নির্দিষ্ট প্রতীকে চিহ্ন দিয়ে খামে ভরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে পাঠাবেন। এসব ব্যালট জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষিত থাকবে এবং নির্বাচনের দিন সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটের সঙ্গে একযোগে গণনা করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন।
এসময় জার্মানিসহ ইউরোপের ভোটারদের অনলাইনে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের সময় সীমা ৩০ ডিসেম্বর করার পাশাপাশি পোস্টাল ভোটের নানা অসংগতি, ইসির অনলাইন সার্ভারে ধীরগতি এনআইডি সমস্যা, অল্প সময়ে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানে সময় সীমাবদ্ধতার নিরসনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন সেমিনারে আগত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা।
এই সময় সেমিনারে অনলাইনে নিবন্ধন ও পোস্টাল ভোটিং এর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বার্লিনের দূতাবাস সবধরণের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানায় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন। তবে সর্বস্তরের প্রবাসীরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে জার্মান কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বর্তমানে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ প্রবাসী বিদেশের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন এবং বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। যেখানে প্রকৃত ভোটারের সংখ্যা হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ লাখের কাছাকাছি। সেমিনারে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন