প্রাণের উচ্ছ্বাস আর হৃদয়ের উষ্ণতায় ২৫ আগস্ট রবিবার বৃহত্তর ময়মনসিংহ বাসীর বনভোজন অনুষ্ঠিত হলো লং আইল্যান্ডের ভ্যালি স্ট্রিম স্টেট পার্কে। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, টাঙ্গাইল আর শেরপুরের প্রবাসীরা জড়ো হয়েছিলেন সপরিবারে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ বারি বাদল, সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ জামান শান্ত’র সার্বিক সমন্বয়ে পার্কের পরিবেশটি এক পর্যায়ে একখণ্ড ময়মনসিংহে পরিণত হয়।
শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীরাও এ সময় মেতে উঠেছিল নানা আয়োজনে। প্রিয় পরিচিতজনের প্রায় সকলেই উদ্বিগ্ন ছিলেন বাংলাদেশের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বন্যার তাণ্ডব নিয়ে। সকলেই সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্পও ব্যক্ত করেন। দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নিরব সমাজকর্মী ও মৃদ্যুভাষী চিকিৎসক ডা. সায়েরা হক।
গতানুগতিকভাবে মঞ্চে উপবেশন না করে নিজের ফোনে সমস্ত কর্মসূচির ভিডিও ধারণেই ব্যস্ত দেখা যায় ডা. সায়েরা হককে। চমৎকার নাস্তা দিয়ে শুরু রুচিসম্মত মধ্যাহ্নভোজের পর অনুষ্ঠিত হয় খেলাধূলা আর র্যাফেল ড্র’র জমকালো আয়োজন। এ সময় ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ ইউএসএ’র ব্যানারের সামনে বিশেষ অতিথি আব্দুল কাদের মিয়া এবং বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফজলুল হক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কম্যুনিটির সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ করেন।
‘আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট হাজী আব্দুল কাদের মিয়া বৃহত্তর ময়মনসিংহ বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বনভোজনের মধ্যদিয়ে প্রবাস প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করার পথও সুগম হয়। এ সময় ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফজলুল হক উপস্থিত সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে বৃহত্তর ময়মনসিংহের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আমরা সেই অঞ্চলের মানুষ হিসেবে সুদূর এই প্রবাসেও একইধারায় সরব থাকতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রবীণ সমাজকর্মী ফজলুল হক। ব্রঙ্কসের ওয়েস্টচেস্টার এভিনিউর জাকির চৌধুরী সিপিএ এসেছিলেন নির্ভূল ট্যাক্স রিটার্নে সকলকে তার সাথে যোগাযোগের আহবানে।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান, প্রধান পৃষ্টপোষক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব মাহবুব কবির বাবু, প্রধান সমন্বয়কারি মো. নাছিরউদ্দিন। বনভোজনের পৃষ্টপোষকদের মধ্যে আরো ছিলেন এ কে এম শফিকুল হক, আজিজুল হক, আনোয়ারুল আলম ভূইয়া, খোরশেদ আলম, আক্তারুজ্জামান হ্যাপী, বনভোজন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শামসুল আলম খোকন, মশিউর রহমান স্বপন, যুগ্ম সদস্য-সচিব নূর ফয়সাল মনি, মো. আলাউদ্দিন, সমন্বয়কারি নজরুল ইসলাম, শাহ আলম এবং মোহাম্মদ বাদল প্রমুখ। পুরো টিম এ আয়োজনকে পরিপূর্ণ করতে সাধ্যমত সচেষ্ট ছিলেন। পল্লব সরকার, রবিউল হাসান এবং ফারুক ইসলাম অনন্দ’র পরিচালনা ও উপস্থাপনায় সঙ্গীতানুষ্ঠানও ছিল উপভোগ্য। সবশেষে অনুষ্ঠিত র্যাফেল ড্র এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ পর্বটি ঘিরে সকলে এক ধরনের আমেজে আবিষ্ট ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন