শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

বঙ্গবন্ধু ও দুটো হলদে পাখি

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু ও দুটো হলদে পাখি

বঙ্গবন্ধু যখন জেলখানায় থাকতেন তখন জেলগেটে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কিছু খাতা পৌঁছে দিতেন। বঙ্গবন্ধুকে বলতেন, জেলখানায় বসে বসে তোমার জীবনের কথা লিখ। বঙ্গবন্ধু তা-ই করতেন। জেল থেকে বেরিয়ে খাতাগুলো দিতেন জীবনসঙ্গিনীর হাতে। বেগম মুজিব অতিযত্নে খাতাগুলো শোবার ঘরের আলমারির ওপর এক কোণে রেখে দিতেন। ’৭১ সালে পাকিস্তানিরা এ বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করে নিয়ে যায়। বাড়ি তছনছ করে। বঙ্গমাতা সন্তানদের নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

’৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর আবার তছনছ এবং ধ্বংস হয় বাড়ির আসবাবপত্র। কিন্তু বাঙালি জাতির পরম সৌভাগ্য দু- দুবার ৩২ নম্বরের বাড়ির ওপর দিয়ে এই ঝড়ঝঞ্ঝা ও নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে যাবার পরও শোবার ঘরের আলমারির ওপরের কোণায় রাখা খাতাগুলো অক্ষত ছিল। সেসব খাতায় বঙ্গবন্ধু তাঁর কারাজীবনের কথা লিখেছেন, চীন ভ্রমণের কথা লিখে রেখেছেন। কিন্তু ১৯৬৭ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বসে যে খাতাগুলোয় নিজের আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছিলেন সেই খাতাগুলো ওখানে ছিল না। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা শোবার ঘরের আলমারির ওপর রাখা খাতাগুলো পেয়ে, বঙ্গবন্ধুর হাতের লেখা দেখে অঝোরধারায় কাঁদলেন। এসব খাতা থেকে শুরু হলো পা-ুলিপি তৈরির কাজ। দুটো বইয়ের প্রস্তুতি চলল। ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’।

এ সময় তাদের এক ফুফাতো ভাই আরও চারটা খাতা এনে বঙ্গবন্ধুকন্যাদের হাতে দিলেন। সঙ্গে কিছু টাইপ করা কাগজ। এই তো বঙ্গবন্ধুর সেই শেষ না হওয়া আত্মজীবনীর খাতাগুলো! দুই বোন আবার চোখের জলে ভাসলেন। শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর প্রথম বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পান্ডুলিপি তৈরির কাজ। কী যে কষ্ট করতে হলো এই বই নিয়ে! পোকায় খেয়ে ফেলেছে অনেক কাগজ। কোথাও কোথাও লেখা অস্পষ্ট হয়ে গেছে। দিনের পর দিন দুই বোন তাঁদের খুব কাছের আরও কয়েকজন মানুষকে নিয়ে বইটির কাজ করতে লাগলেন। তারপর প্রকাশিত হলো এক অবিস্মরণীয় ও অসামান্য গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’।

বইটির ভূমিকায় এই ইতিহাস অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও চমৎকার ভঙ্গিতে লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

সেই শৈশব থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সাল অবধি নিজের জীবন, বড় হয়ে ওঠা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান, দেশভাগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ গঠন, ভাষা আন্দোলন এত আকর্ষণীয় এবং সরল সহজ ভঙ্গিতে লিখে গেছেন বঙ্গবন্ধু, ভাবলে বিস্ময় জাগে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশের পর এই বই পড়ে সুধীমহল এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সব রাজনৈতিক নেতার আত্মজীবনীমূলক রচনার সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় উঠে গেছে। ইংরেজিসহ পৃথিবীর বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’।

৫৫ বছরের জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর পর্যবেক্ষণ শক্তি ছিল অতিতীক্ষè। জেলের নিয়মকানুন, কয়েদিদের জীবনযাপন ও জেলের ভিতরকার প্রতিটি কর্মকান্ড তিনি তীক্ষè নজরে লক্ষ্য করতেন। জেলখানায় বসে জেলজীবনের কথা লিখতেন। তাঁর এই অনুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের কথা লিখতেন। একবার জেলে থাকার সময় দুটো পাখি দেখেছিলেন। তিনি যে রুমে থাকতেন সেই রুমের সঙ্গে এক চিলতে সবুজ ঘাসের মাঠ ছিল। তিনি সেখানে ফুলের গাছ লাগিয়েছিলেন। বিকেলবেলা মাঠটুকুতে পায়চারি করতেন। পাখি দুটো দেখতেন। জেলের এক কয়েদি বঙ্গবন্ধুর খাবার-দাবারের তদারকি করত। তার দু-তিনটি মোরগ-মুরগি ছিল। মোরগটি ছিল খুব স্বাধীনচেতা। মাথা উঁচিয়ে দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করত। মোরগটির এই স্বাধীনচেতা মনোভাব বঙ্গবন্ধুর খুব ভালো লাগত। তিনি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেন। আগেরবার যে পাখি দুটোকে দেখেছিলেন পরেরবার আবার যখন জেলে গেলেন, সেই পাখি দুটো খোঁজলেন বঙ্গবন্ধু। তাদের আর দেখা পেলেন না। কী সুন্দর ও মায়াবী ভঙ্গিতে সেই পাখি দুটোর কথা লিখেছেন!

জেলজীবনের এরকম কত খুঁটিনাটি ঘটনা গভীর মমতায় লিখে গেছেন বঙ্গবন্ধু। জেলজীবন নিয়ে কত নেতা, কত লেখক কত লেখা লিখেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ এক অতুলনীয় বই। এই বইয়ের সঙ্গে অন্য কোনো লেখার তুলনা চলে না।

‘আমার দেখা নয়াচীন’ বঙ্গবন্ধুর লেখা তৃতীয় বই। এ আসলে চীন ভ্রমণের কাহিনি। ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাসের ২ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত চীনের পিকিং শহরে ‘এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সম্মেলনে যোগদান করেন। নয়াচীন সফর করেন। ১৯৫৪ সালে রাজবন্দী থাকা অবস্থায় কারাগারে বসে তিনি লেখেন ‘আমার দেখা নয়াচীন’। এই বই স্মৃতিনির্ভর ভ্রমণকাহিনি। আগের বই দুটোর মতো এই বইয়ের ভাষাও অত্যন্ত প্রাঞ্জল, অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তাঁর গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আগের বই দুটোতে যেমন এই বইতেও ঠিক তেমনভাবে ফুটে উঠেছে। সঙ্গে আছে তাঁর শিল্পিত মন আর অসামান্য দেশপ্রেম। আছে সংগ্রামী প্রত্যয়, সীমাহীন সৌন্দর্যপ্রিয়তা, জীবন সমাজ সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধদৃষ্টি। সবকিছু মিলিয়ে ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম সম্পদ।

১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ৪৬টি ফাইলে প্রায় ৪০ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রচিত ১৪ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই ডকুমেন্টসকে বলেছেন ‘অমূল্য তথ্যভান্ডার’। যেন কয়লা খুঁড়ে পাওয়া হীরের খনি। আমাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ২২ সদস্যের একটি দল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এই বিশাল তথ্যভান্ডার উদ্ধার করে। তাদের নিরলস পরিশ্রমে খন্ডে খন্ডে প্রকাশিত হয় সিক্রেট ডকুমেন্টস। সিক্রেট ডকুমেন্টসের প্রথম খন্ডের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বাঙালি সবসময় বৈষম্যের শিকার ছিল আর এই বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধেই তিনি সোচ্চার ছিলেন এবং আজন্ম-লড়াই সংগ্রাম করেছেন জাতির পিতা। এ কারণে মনে হয় তাঁর প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর একটি বৈরী মনোভাব ছিল এবং এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা সবসময় সক্রিয় ছিল। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, কী বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সবসময় পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ রিপোর্ট তৈরি করত এবং রিপোর্ট পাঠাত আর এই রিপোর্ট যে পাঠাত তারই ওপর ভিত্তি করে তাঁর বিরুদ্ধে একটার পর একটা মামলা দেওয়া হতো এবং তাঁকে বারবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হতো। আমরা সন্তান হিসেবে খুব কম সময়ই তাঁকে কাছে পেয়েছি। এই বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্যই বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেন। ধাপে ধাপে একটি জাতিকে তিনি স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাঁরই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য, এ দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু যে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতিরোধ করার জন্য ধূর্ত পাকিস্তানিরা প্রতিটি মুহূর্তই যে সক্রিয় ছিল এই ডকুমেন্টস তার বড় প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু সেই নেতা, বাঙালির মুক্তির জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য একচুল ছাড় দেননি কোথাও। নিজের জীবনের সুখ-আনন্দ হাসিমুখে বিসর্জন দিয়েছিলেন দেশের জন্য। নিজের কথা ভাবেননি কখনই। শুধু ভেবেছেন দেশের কথা, শুধু ভেবেছেন বাঙালি জাতির মুক্তির কথা। আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু।

ছেলেবেলায় শালিক আর ময়নাপাখির ছানা পুষতেন বঙ্গবন্ধু। কুকুর, বানর পুষতেন। পশুপাখির প্রতি গভীর মমতা ছিল। ৫৫ বছরের জীবনে ১৩ বছরের বেশি জেলে কেটেছে তাঁর। কারাগারের দিনগুলোতেও প্রকৃতি তাঁকে আকৃষ্ট করেছে। পাখিরা আকৃষ্ট করেছে। যে ওয়ার্ডে তাঁকে আটক করে রাখা হতো, তাঁর কামরার বাইরে তিনি বাগান করতেন। মাঠে ঘাস লাগাতেন। নিজ হাতে লাউ ঝিঙার বীজ লাগাতেন। সেইসব লতা বড় হয়ে উঠত আর তিনি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেন। বাগানের গাছে ফুল ফোটাতেন, নিজ হাতে যত্ন নিতেন গাছের। গাছ-লতা আর ঘাস তাঁর হাতে নতুন জীবন পেত। তাঁর হাতে বোনা গাছপালার মতো স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়ে আমরাও পেয়েছি নতুন জীবন।

বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটিতে সবজি আর ফুলবাগানের কথা লিখেছেন। মুরগি, কবুতর আর গভীর মমতায় লিখেছেন দুটো পাখির কথা।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু কারাগারে। সেখানে বসে দেখতেন একজোড়া মোরগ-মুরগি আর একটা বাচ্চা আপনমনে ঘুরে বেড়ায়। বাবুর্চি ওদের জোগাড় করেছে। নিজের খাবার থেকে খাবার বাঁচিয়ে সে ওদের দেয়। ছোট ছোট মাঠগুলোতে ঘাস লাগিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। বৃষ্টি পেয়ে সেই মাঠ সবুজ হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর লাগানো ফুলের চারাগুলো নতুন পাতা ছাড়তে শুরু করেছে। খুব ভালো লাগে দেখতে। মোরগ-মুরগি তাদের বাচ্চাটা নিয়ে সেই মাঠে ঘুরে বেড়ায়।

মুরগিটা এক দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বাবুর্চির কাছে বঙ্গবন্ধু খবর নিতেন, মুরগিটা কেমন আছে? এক দিন মোরগটা জবাই করে দিতে চাইল বাবুর্চি। বঙ্গবন্ধু বললেন ‘দরকার নাই। ও বেশ বাগান দিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ওর চলাফেরার ভঙ্গিমা দেখে আমার ভালো লাগে।’

বাবুর্চি একটা কবুতরের বাচ্চা পালত। সেই কবুতরের বাচ্চা কোলে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ওয়ার্ডের সামনের মাঠে আর বাগানে ঘুরে বেড়াতেন।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের বেশ কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বই তিনটির অসামান্য ভূমিকা লিখেছেন। ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটির ভূমিকার এক জায়গায় তিনি লিখেছেন;

‘মানুষের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ও সংগ্রাম তিনি করেছেন যার অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা অর্জন।

বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে এ আত্মবিশ্বাস বারবার তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে। এত আত্মপ্রত্যয় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো নেতা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছেন কিনা আমি জানি না।

ধাপে ধাপে মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন। উজ্জীবিত করেছেন।

ছয় দফা ছিল সেই মুক্তি সনদ, সংগ্রামের পথ বেয়ে যা এক দফায় পরিণত হয়েছিল, সেই এক দফা স্বাধীনতা। অত্যন্ত সুচারুরূপে পরিকল্পনা করে প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছিলেন। সামরিক শাসকগোষ্ঠী হয়তো কিছুটা ধারণা করেছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে তারা হার মানতে বাধ্য হয়েছিল।’

আরেক জায়গায় লিখেছেন, ‘গাছপালা, পশুপাখি, জেলখানায় যারা অবাধে বিচরণ করতে পারত তারাই ছিল একমাত্র সাথী। একজোড়া হলুদ পাখির কথা কী সুন্দরভাবে তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে তা আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না।’

সেই পাখি দুটোর কথা বঙ্গবন্ধু লিখেছিলেন এইভাবে...

১৮ জুন ১৯৬৬, শনিবার

‘বহুদিন পর্যন্ত দু’টি হলদে পাখিকে আমি খোঁজ করছি। ১৯৫৮-৫৯ সালে যখন ছিলাম এই জায়গাটিতে তখন প্রায়ই ১০টা/১১টার সময় আসত, আর আমগাছের এক শাখা হতে অন্য শাখায় ঘুরে বেড়াত। মাঝে মাঝে পোকা ধরে খেত। আজ ৪০ দিন এই জায়গায় আমি আছি, কিন্তু হলদে পাখি দু’টি আসল না। ভাবলাম ওরা বোধহয় বেঁচে নাই অথবা অন্য কোথাও দূরে চলে গিয়াছে। আর আসবে না। ওদের জন্য আমার খুব দুঃখই হলো। যখন ১৬ মাস এই ঘরটিতে একাকী থাকতাম তখন রোজই সকালবেলা লেখাপড়া বন্ধ করে বাইরে যেয়ে বসতাম ওদের দেখার জন্য। মনে হল ওরা আমার উপর অভিমান করে চলে গেছে।’

শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা বাঙালি পেয়েছে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, সেই সংগ্রামে অনেক ব্যথা-বেদনা, অশ্র“ ও রক্তের ইতিহাস রয়েছে। মহান ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহৎ অর্জন করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

দিনের পর দিন কারাগারে থাকার ফলে মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু সে কথা পরিবারের কাউকে জানতে দিতেন না। বঙ্গমাতা ছেলেমেয়েদের নিয়ে মাসে এক-দুবার জেলগেটে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। ছোট্ট রাসেল কিছুতেই আব্বাকে ছেড়ে আসতে চাইত না। মন খারাপ করত। কান্নাকাটি করত। বঙ্গবন্ধু তাকে অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফেরত পাঠাতেন।

শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ডাকতেন ‘হাচু’ বলে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীর এক জায়গায় তিনি লিখেছেন,

‘‘একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে, ‘হাচু আপা, হাচু আপা তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।’ আমি আর রেণু দুজনই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, ‘আমি তো তোমারও আব্বা।’ কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দী করে রাখা আর তাঁর আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।”

 

লেখক : কথাশিল্পী ও সম্পাদক কালের কণ্ঠ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
মব সন্ত্রাসে কঠোর বিএনপি
মব সন্ত্রাসে কঠোর বিএনপি

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ভিনিসিয়ুসের নৈপুণ্যে জিতল রিয়াল
ভিনিসিয়ুসের নৈপুণ্যে জিতল রিয়াল

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হিজরি নববর্ষ উদযাপনে নানা আয়োজন
হিজরি নববর্ষ উদযাপনে নানা আয়োজন

১৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা শুরু করার কোনো সিদ্ধান্ত নেই: ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা শুরু করার কোনো সিদ্ধান্ত নেই: ইরান

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মসজিদগুলোতে সামাজিক সহযোগিতা বাড়ানো দরকার
মসজিদগুলোতে সামাজিক সহযোগিতা বাড়ানো দরকার

২৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে ট্রেনিং সেন্টারের ছাদ থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু
রাজধানীতে ট্রেনিং সেন্টারের ছাদ থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীর বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা
করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীর বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
রমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনে আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনে আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক
৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘৭৩ থেকে যত নির্বাচন হয়েছে, একটিও গ্রহণযোগ্য ছিলো না’
‘৭৩ থেকে যত নির্বাচন হয়েছে, একটিও গ্রহণযোগ্য ছিলো না’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ দেশে ইসরায়েলের ৩৫ হাজার হামলা
২০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ দেশে ইসরায়েলের ৩৫ হাজার হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২
গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭১
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ
শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৭ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৭ জুন)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিককে ছাড়িয়ে শীর্ষে লিটন
মুশফিককে ছাড়িয়ে শীর্ষে লিটন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দর রেল গেটে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের
বিমানবন্দর রেল গেটে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ধনকুবের বেজোসের বিয়েতে যোগ দিতে ভেনিসে বিল গেটস, কিম কার্দাশিয়ানরা
ধনকুবের বেজোসের বিয়েতে যোগ দিতে ভেনিসে বিল গেটস, কিম কার্দাশিয়ানরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী
পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাতিয়ায় গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়
হাতিয়ায় গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৩৩ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৩৩ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গ্যাসসংকটে খেলাপি হবেন ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী
গ্যাসসংকটে খেলাপি হবেন ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাবিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা বহিরাগত তরুণীর
ঢাবিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা বহিরাগত তরুণীর

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম
হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পরমাণুর জন্য নয়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভিন্ন কারণ জানালেন খামেনি
পরমাণুর জন্য নয়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভিন্ন কারণ জানালেন খামেনি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী
পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকার মুখে ‘কঠিন থাপ্পড়’ মেরেছে ইরান : খামেনি
আমেরিকার মুখে ‘কঠিন থাপ্পড়’ মেরেছে ইরান : খামেনি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজরের
সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজরের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ১১ দিন ধরে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য
ভারতে ১১ দিন ধরে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ, ক্রেতা খুশি হলেও হতাশ আড়তদাররা
ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ, ক্রেতা খুশি হলেও হতাশ আড়তদাররা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানি ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স
ইরানি ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-রাশিয়া-ইরানের বিশেষ বৈঠক
চীন-রাশিয়া-ইরানের বিশেষ বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা
যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ২
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ২

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হানা, নিজের পায়েই কুঠার মারল আমেরিকা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হানা, নিজের পায়েই কুঠার মারল আমেরিকা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর অবরুদ্ধ
এনবিআর অবরুদ্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার
মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’
বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের
২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটি নিউজ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আইন উপদেষ্টা
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটি নিউজ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ১৫ বছরের পরিকল্পনার ‘চূড়ান্ত পরিণতি’ : মার্কিন জেনারেল
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ১৫ বছরের পরিকল্পনার ‘চূড়ান্ত পরিণতি’ : মার্কিন জেনারেল

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম
হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাঁকরোল খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকার
কাঁকরোল খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকার

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নারী নিপীড়ন: এনসিপির দলীয় চেতনা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীলা ইসরাফিল
নারী নিপীড়ন: এনসিপির দলীয় চেতনা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীলা ইসরাফিল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের
বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?
জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন দক্ষিণের প্রশাসক, সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন দক্ষিণের প্রশাসক, সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা
ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ নিষিদ্ধ হাজারো ফেসবুক গ্রুপ, ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা
হঠাৎ নিষিদ্ধ হাজারো ফেসবুক গ্রুপ, ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শিবির সভাপতি-সেক্রেটারির ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছাত্রদল সভাপতির
শিবির সভাপতি-সেক্রেটারির ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছাত্রদল সভাপতির

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারকাদের প্রেমের সংসারে ভাঙন
তারকাদের প্রেমের সংসারে ভাঙন

শোবিজ

রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষোভ
রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

আম রপ্তানিতে হতাশা
আম রপ্তানিতে হতাশা

নগর জীবন

প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে কাদেরের নিলাম প্রথা
প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে কাদেরের নিলাম প্রথা

প্রথম পৃষ্ঠা

সভায় বিএনপি নেতার অস্ত্র প্রদর্শন ভিডিও ভাইরাল
সভায় বিএনপি নেতার অস্ত্র প্রদর্শন ভিডিও ভাইরাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ক্ষমতার দাপটের ফল ভোগ
ক্ষমতার দাপটের ফল ভোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখ খুলছেন সাবেক সিইসিরা
মুখ খুলছেন সাবেক সিইসিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী উদযাপন
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী উদযাপন

মাঠে ময়দানে

চীনের স্মার্ট গ্রামে মির্জা ফখরুলরা
চীনের স্মার্ট গ্রামে মির্জা ফখরুলরা

নগর জীবন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন আসিফ নজরুল
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন আসিফ নজরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

ফারিণের শনির দশা
ফারিণের শনির দশা

শোবিজ

আলোচনার চেয়ে খাওয়া দাওয়া বেশি
আলোচনার চেয়ে খাওয়া দাওয়া বেশি

প্রথম পৃষ্ঠা

কেএমপি কমিশনারকে অপসারণে আলটিমেটাম
কেএমপি কমিশনারকে অপসারণে আলটিমেটাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধ পুশইন নয় শেখ হাসিনাকে পুশব্যাক করেন
অবৈধ পুশইন নয় শেখ হাসিনাকে পুশব্যাক করেন

নগর জীবন

আরও জটিল এনবিআর পরিস্থিতি
আরও জটিল এনবিআর পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

রমেশের উইকেটের বেলস ভেঙে ফেলেছিলাম’
রমেশের উইকেটের বেলস ভেঙে ফেলেছিলাম’

মাঠে ময়দানে

গণতন্ত্র বনাম মবতন্ত্র ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য
গণতন্ত্র বনাম মবতন্ত্র ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য

সম্পাদকীয়

বর্ষার ফুলে মুগ্ধতা
বর্ষার ফুলে মুগ্ধতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আর শোনা যাবে না অমিতাভের কণ্ঠ
আর শোনা যাবে না অমিতাভের কণ্ঠ

শোবিজ

জন্মদিনে ফেরদৌসী রহমান
জন্মদিনে ফেরদৌসী রহমান

শোবিজ

নাবিলার পছন্দের নায়ক
নাবিলার পছন্দের নায়ক

শোবিজ

মিশা সওদাগরের চাওয়া
মিশা সওদাগরের চাওয়া

শোবিজ

বাতিল হচ্ছে ৪১৫ হজ এজেন্সির লাইসেন্স
বাতিল হচ্ছে ৪১৫ হজ এজেন্সির লাইসেন্স

নগর জীবন

হাসিনা পরিবারের নামে ৯৭৭ প্রতিষ্ঠান অবশেষে পরিবর্তন
হাসিনা পরিবারের নামে ৯৭৭ প্রতিষ্ঠান অবশেষে পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

কলম্বো টেস্টে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা
কলম্বো টেস্টে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে জি এম কাদেরকে আহ্বান
প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে জি এম কাদেরকে আহ্বান

নগর জীবন

শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিবকে কুপিয়ে জখম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিবকে কুপিয়ে জখম

নগর জীবন