আর্লিং হলান্ড এবং রেকর্ড এখন সমোচ্চারিত শব্দ। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রতিদিন মাঠে নামছেন, ভাঙছেন পুরনো রেকর্ড। গড়ছেন নতুন রেকর্ড। পরশু রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে গড়েছেন নতুন রেকর্ড। পেছনে ফেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা ফুটবলার লিভারপুলের মিসরিয়ান স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহকে। প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে হলান্ডের গোল এখন পর্যন্ত ৩১ ম্যাচে ৩৩টি। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি ম্যানসিটি ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনালকে। এ জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের আরও কাছে এসে দাঁড়িয়েছে ম্যানসিটি। অবশ্য হারলেও পয়েন্ট টেবিরেল শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। ৩৩ ম্যাচে গানারদের পয়েন্ট ৭৫। দুই ম্যাচ কম খেলে পেপ গার্ডিওলার ম্যানসিটির পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৭৩।
প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা আর্সেনাল সর্বশেষ জিতেছিল ২০০৩-০৪ মৌসুমে। গত ১৯ বছরে শিরোপা জেতা হয়নি দলটির। এবার শুরু থেকে দারুণ খেলছিল আর্সেনাল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটিও টানা শিরোপা জয়ে দারুণ শুরু করে। যদিও মাঝপথে গতি হারিয়েছিল সিটি। শেষ দিকে ছন্দ ফিরে পায় গার্ডিওলা বাহিনী। পরশু রাতে ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনালকে। ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন কেভিন ডি ব্রুইন এবং বাকি দুটি গোল করেছেন জন স্টোন্স ও আর্লিং হলান্ড। এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ২০১৫ সালের পর থেকে টানা ৮ ম্যাচে আর্সেনাল কখনোই সিটির বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায়নি। সিটির নবম শিরোপা জিততে খেলতে হবে আরও ৭ ম্যাচ। ফুলহাম, ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড ও লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ তিনটি ঘরের মাঠে। তিন ম্যাচের পয়েন্ট এগিয়ে নেবে দলটিকে।
ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটে ডি ব্রুইনের গোলে প্রথম আনন্দে ভাসে স্বাগতিক সিটি। প্রথমার্ধে গোলসংখ্যা ২-০ করেন জোন্স। বিরতির একটু আগে ডি ব্রুইনের ফ্রি কিকে দারুণ হেডে স্কোরলাইন ২-০ করেন জন স্টোন্স। যদিও রেফারি অফসাইডের অজুহাতে গোলটি বাতিল করেছিলেন। পরে ভিএআরে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হয় ৩টি। ৫৪ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-০ করেন ডি ব্রুইন। ম্যাচে সিটির চার নম্বর গোলটি করেন হলান্ড। গোল করেই রেকর্ড বুকে নাম লেখান নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে সিটিতে যোগ দিয়ে গোলবন্যায় ভাসাচ্ছেন প্রতিপক্ষ দলগুলোকে। পরশু রাতে তিনি প্রিমিয়ার লিগে ৩৩ গোল করে পেছনে ফেলেছেন সালাহকে। লিগে হলান্ডের গোল ৩১ ম্যাচে ৩৩টি। সালাহ গোল করেছিলেন এক মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ৩২টি। অবশ্য প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক দুই ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়েরার ও অ্যান্ডি কোল। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত হলান্ড সিটির জার্সিতে সব আসর মিলিয়ে গোল করেছেন ৪৩ ম্যাচে ৪৯টি।