অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ক্রীড়াঙ্গন ডুবে থাকলেও কোনো ফেডারেশনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি। অথচ ৪৮টি ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ফেডারেশনের চালিকা শক্তি সাধারণ সম্পাদকই। আবার যত অনিয়ম ও দুর্নীতি মূলত সাধারণ সম্পাদক ঘিরেই। এরপরও কেন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় চিহ্নিত ফেডারেশনগুলোর কমিটি ভেঙে দিচ্ছে না কেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবচেয়ে বড় কথা কিছু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর মধ্যে হকি ফেডারেশন ও অ্যাথলেটিকস অন্যতম। মুমিনুল হক সাঈদ এমনিতেই বিতর্কিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। আগের বারও তিনি হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন প্রভাব খাটিয়ে। তবে বেশিদিন চেয়ারে থাকতে পারেননি। নিষিদ্ধ ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়ানোয় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দেশের বাইরে আশ্রয় নেন। ফেডারেশন গঠনতন্ত্র মেনে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেও দেড় বছর পর হঠাৎ হকির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত হন সাঈদ। এরপর আবার সভাপতির নির্দেশই তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদে ফিরিয়ে আনা হয়। যা ক্রীড়াঙ্গনে নজিরবিহীন। গত বছর হকির পদ ধরে রাখতে সব অনিয়মই করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তার কোনো সন্ধান মিলছে না। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যার মামলাও রয়েছে। এমন অবস্থায় হকিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বিভিন্ন মহল দাবি তোলার পরও কমিটি বিলুপ্ত করা হচ্ছে না।
ক্রিকেট বা ফুটবলের কমিটি হুট করে ভাঙা যায় না। কিন্তু অন্যান্য ফেডারেশনের বেলায় তো সমস্যা নেই। জানা গেছে, হকির কমিটি যে কোনো সময় ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গড়া হতে পারে। অন্য অ্যাথলেটিকসের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু অলিম্পিক গেমসে যাওয়ার পর দেশে ফেরেননি। আমেরিকা থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান। এই খেলার গুরুত্ব ভেবে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, দুটি ফেডারেশন অ্যাডহক কমিটি নাকি প্রস্তুতও হয়ে গেছে।