বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকায় প্রথম পর্বে একটা ম্যাচ খেলে পরাজিত হয়েছিল চিটাগং কিংস। হেরেছিল খুলনা টাইগার্সের কাছে। সিলেট পর্বেই ভাগ্য খুলে গেল তাদের। টানা তিন ম্যাচ জিতে চিটাগং পর্বে খেলতে যাচ্ছে মিথুনরা। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩০ রানের জয় পেয়েছে চিটাগং কিংস। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রান করে চিটাগং। সিলেটের ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে।
সিলেটের দর্শকরা বড় আশা করে নিজেদের মাটিতে জয় দেখতে স্টেডিয়াম পূর্ণ করেছিলেন। ম্যাচজুড়ে তারা সিলেট স্ট্রাইকার্সকে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। তবে সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিতে সমর্থকদের বিনোদন দিতে ব্যর্থ হলেন আরিফুল হকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং কিংস ২০০ ঊর্ধ্ব নিরাপদ সংগ্রহ গড়ে। ওপেনার পারভেজ ইমন ১০ বলে ৭ রান করে আউট হলেও উসমান খান করেন ৩৫ বলে ৫৩ রান (৮টি চার, ১টি ছক্কা)। তাকে সঙ্গ দেন গ্রাহাম ক্লার্ক। ইংলিশ এই হার্ড হিটার করেন ৩৩ বলে ৬০ রান। ৩টি চার ছাড়াও ৫টি ছক্কার মার ছিল ক্লার্কের ইনিংসে। এ ছাড়া হায়দার আলি ১৮ বলে ৪২ রান করে বড় করেন চিটাগংয়ের ইনিংস। ১৯ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক মিথুন। সিলেটের পক্ষে তানজিম সাকিব সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই (ব্যক্তিগত ২ রানে) ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান রনি তালুকদার। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৭ রানেই আউট হন। পল স্টার্লিং ফিরে যান আরও আগেই (০ রানে)। এরপর জাকির হাসান, জর্জ মুনসে আর জাকের আলিরা আশা জাগালেও রানের পাহাড়ে চড়তে পারেনি সিলেট। মুনসে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন। জাকের আলির ইনিংসটা ছিল দুর্দান্ত। তিনি মাত্র ২৩ বলে ৪৭ রান করেন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে। চিটাগংয়ের ওয়াসিম ২৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া এলিস ইসলাম ২টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান চিটাগংয়ের গ্রাহাম ক্লার্ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস : ২০ ওভারে ২০৩/৬ (উসমান ৫৩, ক্লার্ক ৬০, মিঠুন ২৮, হায়দার ৪২; নাহিদুল ৪-০-৩০-১, তানজিম ৪-০-৩৮-২, রুয়েল ৪-০-৪৮-১, আরিফুল ৩-০-৩০-১)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ২০ ওভারে ১৭৩/৮ (জাকির ২৫, মানজি ৫২, জোন্স ১৫, জাকের ৪৭*; নাবিল ২-০-২৫-১, শরিফুল ৪-০-৩৪-১, খালেদ ৪-০-৩০-১, ওয়াসিম ৪-০-২৫-৩)।
ফলাফল : চিটাগং কিংস ৩০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : গ্রাহাম ক্লার্ক।