তিন বছর আগে ২০২২ সালে সর্বশেষ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। ৮ দলের টুর্নামেন্টে সাত নম্বর হয়েছিল। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ এসেছিল নিগার সুলতানাদের। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। সেন্ট কিটসের বেসেটেরেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যদি সিরিজনির্ধারণী ম্যাচটি বাংলাদেশ জিততো, তাহলে প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি চলতি বছরের আগস্টে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেত। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮ উইকেটে হেরে যায়। এই হারে সিরিজও হেরেছেন নিগাররা। অবশ্য ম্যাচটি হারলেও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ রয়ে গেছে নিগার বাহিনীর। এজন্য বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ৮ দলের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ভারতসহ সরাসরি ৬টি দল খেলবে। বাকি দুই দলের জন্য বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড। হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে সমান ২১। কিন্তু রানরেটে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে থেকে সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে। নিগার বাহিনীর রানরেট -.০.৬৭৮ এবং নিউজিল্যান্ডের রানরেট ০.১২৯।
আকাশসমান চাপ নিয়ে টস জিতে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই করেছিল। একপর্যায়ে ১৯.২ ওভারে ১ উইকেটে ৬৮ রান তোলে নিগার বাহিনী। কিন্তু পরের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ ৯ উইকেট হারায় মাত্র ৫০ রানে। উইকেটগুলো হারায় ২৪.২ ওভারে। আশ্চর্য হলেও সত্যি, সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি দেওয়ার ম্যাচে নিগাররা ১১ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট। আরও আশ্চর্যজনক বিষয়, সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। শেষ পাঁচ ব্যাটার একত্রে রান করেছেন ১! এই ব্যাটিং ব্যর্থতায়ও সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন শারমিন আক্তার। ৫৮ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার। এ ছাড়া ফারজানা হক ২২, নিগার সুলতানা ১১ ও সোবহানা মুস্তারি ২৫ রান করেন। স্বপ্নের হাতছানি দেওয়া ম্যাচে নিগার বাহিনীর স্কোর ছিল ৪৩.৫ ওভারে ১১৮ রান।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে কৃঞ্চা রামহারাক ৪ উইকেট নেন ১২ রানের খরচে। টার্গেট মামুলি ১১৯ রান। সহজ রানের টার্গেট ক্যারিবিয়ান নারী দল টপকে যায় ২৭.৩ ওভারে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন কিয়ানা জোশেফ। এ ছাড়া হেইলেহ ম্যাথিউস ২২, শিমাইন ক্যাম্পবেল অপরাজিত ২৫ ও দিয়েন্দ্রা ডটিন অপরাজিত ৩৩ রান করেন। নিগার বাহিনীর পক্ষে মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ১১৮/১০, ৪৩.৫ ওভার (ফারজানা ২২, শারমিন ৩৭, নিগার ১১, সোবহানা ২৫। ম্যাথিউস ১০-৩-১৯-১, ফ্লেচার ১০-০-২২-১, জাইদা ৭-২-১৫-২, রামহারাক ৬.৫-০-১২-৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১২২/২, ২৭.৩ ওভারে (ম্যাথিউস ২২, জোসেফ ৩৯, ক্যাম্পবেল ২৫*, ডটিন ৩৯*; মারুফা ৭-১-৩৯-১, নাহিদা ৬-০-২৫-১)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-১ এ সিরিজ জয়ী।
ম্যাচ ও সিরিজসেরা : কারিশ্মা রামহারাক।