হান্নান সরকার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আবাহনীর হয়ে দুই বছর খেলেছেন। খেলেছেন মোহামেডানের পক্ষেও। ক্যারিয়ার শেষে কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার। এজড লেবেলে কোচিং করিয়েছেন। জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। নির্বাচক প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়ে ফিরেছেন কোচিংয়ে। দায়িত্ব নেন দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনীর। এবারই প্রথম হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হেড কোচ হিসেবে প্রথম আসরে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে বাজিমাত করেন। বর্তমান সময়ে স্রোতের প্রতিকূলে চলা আবাহনীকে গোছানো ক্রিকেট খেলিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে আবাহনীকে জেতান সঠিক পরিকল্পনায় ক্রিকেট খেলিয়ে। অথচ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুম শুরু করেছিলেন হার দিয়ে। এরপর জুনিয়র-সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি দল হিসেবে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। হেড কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে উচ্ছ্বসিত হান্নান। তিনি বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতেই শিরোপা জেতাটা স্বস্তির। তবে এবারের বিষয়টা একটু আলাদা। এর আগেও আমি ট্রফি জিতেছি। কিন্তু সেটা হেড কোচ হিসেবে নয়। হেড কোচ হিসেবে শিরোপা জিততে পারা সবসময় আনন্দের।’ অলিখিত ফাইনালে মোহামেডানের ৭ উইকেটে ২৪০ রান টপকে আবাহনী ২৪তম শিরোপা জেতে প্রিমিয়ার লিগে। ১৭ টেস্টে ৫ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৬২ এবং ২০ ওয়ানডেতে ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৮৩ রান করা হান্নান এর আগেও আবাহনীর কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে আবাহনীর ব্যাটিং কোচ ছিলেন। ২০১৩ সালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেরও ব্যাটিং কোচ ছিলেন তিনি। বিসিবি থেকে লেবেল-টু করিয়েছেন। আবাহনীর হেড কোচের দায়িত্ব পালন করার বাইরে তিনি এবার জাতীয় ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রোর হেড কোচ ছিলেন। বিসিএলে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনেরও সহকারী কোচ ছিলেন। বিপিএলে ২০১২ ও ২০১৩ মৌসুমে দুরন্ত রাজশাহী এবং ২০১৬ ও ২০১৭ রাজশাহী কিংসের সহকারী কোচ ছিলেন হান্নান। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বড় বাজেটের দল গড়িনি। কিন্তু পরিকল্পিত দল গড়েছিলাম। দলের ক্রিকেটাররা সবাই শতভাগ উজাড় করে খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। এজন্য ক্রিকেটারদের ধন্যবাদ। ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ, তারা কাজে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।’
ক্রিকেটারদের শতভাগ পারিশ্রমিকও পরিশোধ করেছে ম্যানেজমেন্ট।’