চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ শেষ। ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর পেশাদার লিগেও পর্দা নামছে ২৯ মে। জুনিয়র লিগও (অনূর্ধ্ব-১৮) শুরুর প্রস্তুতি চলছে। অথচ নারী লিগের কোনো খোঁজখবর নেই। তবে ২০২২ সালে প্রথমবার সাফ জেতার পর বাফুফের তৎকালীন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন থেকে নারী লিগ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। অবাক হলেও সত্য, নারী জাতীয় দল সাফ শিরোপা জেতার পর থেকেই নারী লিগে বেহাল দশা নেমে এসেছে। এক মৌসুমে লিগও হয়নি। পরেরবার হলেও তাতে কোনো প্রাণ ছিল না। পেশাদার লিগে খেলা কোনো ক্লাবই অংশ নেয়নি। জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলেছিলেন ঠিকই, তবে কীভাবে খেলেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর বসুন্ধরা কিংস শুরু থেকেই নারী লিগ খেলেছে। টানা তিনবার অর্থাৎ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডও রয়েছে তাদের। কিংসই একমাত্র দল যারা পেশাদারের নিয়মকানুন মানছে। সে লক্ষ্যে তারা নারী লিগে শুধু অংশই নেয়নি, সম্মানজনক পারিশ্রমিকও তুলে দিতে পেরেছিল। এমনকি লিগ নিয়মিত রাখতে বসুন্ধরা গ্রুপই স্পন্সর করে। সেই কিংসই কি না দল প্রত্যাহার করে নেয়! নারী ফুটবল কমিটিতে নানান অব্যবস্থাপনার করণেই মূলত তারা সরে দাঁড়ায়।
নারী ফুটবল ঘিরে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শোনা যাচ্ছিল নারী উইং চেয়ারম্যানের পদে পরিবর্তন আসবে। তা আর হয়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে নতুন কেউ দায়িত্ব নেওয়ার। বাফুফের নতুন নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরই মাহফুজা আক্তার কিরণ ঘোষণা দেন, এবার নারী লিগে আবাহনী ও মোহামেডানকে খেলানোর চেষ্টা করবেন। এ নিয়ে তিনি প্রথা ভেঙে বৈঠকও করেছিলেন। দুই দল খেলবে কি না তা এখনো অন্ধকারে। এ ব্যাপারে কিরণের কোনো বক্তব্য নেই। নারী লিগ মাঠে নামানোর কোনো উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না। তাহলে কি আরেকটি মৌসুম হারিয়ে যাবে? বসুন্ধরা কিংস ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে নারী লিগে ফিরে আসতে চায়। তবে তাদের শর্ত রয়েছে, পুল প্রথা হলে খেলবে না। অবশ্য লিগ আদৌ হবে কি না তার কোনো ঠিক নেই। এখানে শর্তের বিষয়টি তো আসবে পরে।