ঘাড়ের ব্যথায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেননি তামিম ইকবাল। একই ব্যথায় তাকে দেখা যায়নি এশিয়া কাপে। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন টি-২০ বিশ্বকাপে। কাল অনেকদিন পর খেলতে নামেন। নেমেই প্রস্তুতি ম্যাচে ৩০ বলে খেলেন ৪৩ রানের নজরকাড়া ইনিংস। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে তামিম ছাড়া শুধু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সহজ ম্যাচটি কষ্ট করে জেতার পরও প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটারদের খেলার মেজাজ নিয়ে। হালকা মেজাজে খেলার বিষয়টি স্বীকার করেননি তামিম। সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, টানা সাত ম্যাচে হারের পর হালকা মেজাজে ক্রিকেট খেলার কোনো কারণ নেই। আর দল সবগুলো ম্যাচকেই নিচ্ছে সিরিয়াসলি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে তিন উইকেটে ৭৮ রান করে আমিরাত। সে সময় রুবেল ছাড়া আর কোনো বোলারই প্রভাব ফেলতে পারেনি আমিরাতের ব্যাটসম্যানদের ওপর। অবশ্য শেষ দিকে বোলাররা নিজেদের ফিরে পেলে ১৪২ রানে আটকে রাখে প্রতিপক্ষকে। আইসিসি সহযোগী দেশের বিপক্ষে বোলিংটা আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল কি না, প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, 'আরও ভালো হতে পারত। বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। আমি মনে করি, আরও ভালো বোলিং করা উচিত ছিল। বিশেষ করে প্রথম ৬ ওভারে। তবে শেষ দিকে বোলাররা ঘুরে দাঁড়ানোয় তাদের ১৪০ (১৪২) রানে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছে। '
১৪৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সাত বল আগে ম্যাচ জেতা। কিংবা ৬ উইকেট হারানো। এসব কি প্রস্তুতি ম্যাচ বলে? ক্রিকেটারদের বোলিং ও ব্যাটিংয়ের মেজাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হালকা মেজাজে খেলার বিষয়ে তামিম বলেন, 'আমরা একটানা ৭টি ওয়ানডে হেরেছি। এরপর আমাদের ওই অবস্থা নেই এত সহজভাবে কোনো কিছু নেওয়ার। আমরা আসলে প্রতিটি ম্যাচ খুব সিরিয়াসভাবে নিচ্ছি। এরপর যার সঙ্গে খেলা তাকেও আমরা সিরিয়াসভাবে নিব। আমাদের ভুলগুলো যেগুলো হচ্ছে সেগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। সেগুলো সমাধান করে আমরা কয়েকদিন আগে যে ভালো অবস্থানে ছিলাম সেখানে ফিরে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য।'