অনেক দিন ধরে শ্রীলঙ্কার মাটিতে জয়ের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশের কোনো দলই। তারপর আবার এয়ার ফোর্সে ছিল শ্রীলঙ্কার বেশ ক'জন জাতীয় দলের ফুটবলার। পরবর্তী রাউন্ডের আশা জিইয়ে রাখতে শুক্রবার ম্যাচে রাসেলের জয় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ ছিল না।
শেষ পর্যন্ত দুশ্চিন্তার অবসান ঘটে শেখ রাসেলের জয়ে। এক বা দুই না ৫ গোলে স্বাগতিক এয়ার ফোর্সকে বিধ্বস্ত করেন বিপ্লবরা। গতবারের মৌসুমে তিন ট্রফি জিতলেও এবারে সময়টা ভালো যাচ্ছে না শেখ রাসেলের। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপে ব্যর্থতার পর লিগেও করুণ দশা। নতুন কোচ দুকানোভিচকে এনেও সংকট কাটছিল না। এনিয়ে ক্লাব সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। কেননা মারুফুল হকের বিদায়টা অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। আলম বলেছিলেন, সংকট উত্তরণের পথ হিসেবে আমরা এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপকেই বেছে নিয়েছি। ছেলেরা হতাশ করবে না আশা রাখছি। আলমের আশা মনে হয় পূরণ হতে চলেছে। আজ ভুটানের উজিয়েক একাডেমিকে হারাতে পারলেই অনেক দিন পর বাংলাদেশের কোনো ক্লাব এশিয়ান ক্লাব পর্যায়ে টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারবে। তবে ড্র বা ম্যাচ হারলে তখন আবার শেখ রাসেল সংকটে পড়ে যেতে পারে। কেননা আজ কেআরএল মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা এয়ার ফোর্সের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে যদি কেআরএল জিতে যায় তখন তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৭-এ। তবে উজিয়েক দল হিসেবে তেমন শক্তিশালী নয়। আগের দুই ম্যাচই তারা হেরেছে। সেক্ষেত্রে শেখ রাসেলের চূড়ান্তপর্বে উঠাটা অনেকে সময় ব্যাপার বলে ধরে নিয়েছে।