বিশ্বকাপ খেলার জন্য যে দল সাজানো হয়েছে, সেটা নিয়ে কোনো অসন্তোষ নেই সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের। বরং মনে করেন, সম্ভাব্য সেরা দলটাই সাজিয়েছেন নির্বাচক প্যানেল। দল সাজানো-গোছানো শেষ। এখন পারফরম্যান্স। সেটার জন্য সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চেয়ে ক্রিকেটারদের নিজস্ব পরিকল্পনা জরুরি। পাইলট বিশ্বাস করেন, ব্যক্তিগত পরিকল্পনা থাকলেই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে সাফল্য পাবেন ক্রিকেটাররা। তবে গ্রুপে সহজ প্রতিপক্ষ হলেও আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হালকাভাবে নিতে নিষেধ করেছেন পাইলট।
১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলেছেন। আহামরি কোনো পারফরম্যান্স ছিল না। কিন্তু অসাধারণ টিম ম্যান ছিলেন। স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দুটিতে উইকেটের পেছনে থেকে উৎসাহ যুগিয়েছেন অহর্নিশ। সেই বিশ্বকাপের কথা স্মরণ করতে যেয়ে বলেন, 'আমরা প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলেছিলাম সেবার। বিশ্বকাপ খেলব ভেবে সবাই উত্তেজিত ছিলাম। তবে সবাই একটি দল হয়েই খেলেছিলাম। এক সুতোয় বাঁধা পড়েছিলাম বলেই দুই দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম। সাফল্য পেতে পুরো দলকে এক সুতোয় বাঁধা হওয়া জরুরি।' চার বছর পর ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন বাংলাদেশ দলের। যে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন পাইলট, দুটিই দেশের বাইরে এবং হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে। তাই ভালো করে জানেন বাউন্সি ও গতিশীল উইকেটে সফল হতে কি কি করা দরকার। সেই অভিজ্ঞতায় বলেছেন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে সফর হতে কি করতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বকাপের স্বাগতিক দুই দেশেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে পাইলটের। তাই অন্য যে কোনো ক্রিকেটারের চেয়ে তার অভিজ্ঞতা বেশি। সেই অভিজ্ঞতায় বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেটে সফল হতে ব্যাটসম্যানদের সাইড স্ট্রোক বেশি খেলতে হবে। এজন্য অনুশীলনে সেখানকার মতো উইকেট বানাতে হবে। সেখানে ব্যাটসম্যানদের সাইড স্ট্রোক খেলতে হবে।' সে ধরনের উইকেট বানাতে না পারলেও কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে মার্বেল পাথরে ব্যাটিং অনুশীলন করাচ্ছেন শিষ্যদের। কোচের এই অনুশীলনের ধরনটা বেশ পছন্দ হয়েছে পাইলটের, 'আমি এরকমই অনুশীলন চাইছি। মার্বেল পাথরে বল কুইক আসে এবং সর্বোপরি বাউন্সও থাকে। ব্যাটসম্যানরা যদি এখানে সাইড স্ট্রোকটা বেশি করে অনুশীলন করেন, তাহলে বিশ্বকাপে সফল হবেন।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে 'এ' গ্রুপে। গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নিয়ে আশাবাদী পাইলট। এজন্য আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হালকাভাবে নিতে নিষেধ করলেন ক্রিকেটারদের, 'ক্রিকেট দিনের খেলা। যেদিন যে ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। শক্তিমত্তায় আমরা হয়তো আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড থেকে এগিয়ে। তাই বলে তাদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি দল যদি নিজেদেরটা খেলতে পারেন, তাহলে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সম্ভব। এজন্য কঠিন লড়াই করতে হবে।'
এবার নিয়ে পঞ্চমবার বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। আগের চারবারের মধ্যে ২০০৭ সালে শুধু সুপার এইট খেলেছিল। ২০০৩ সালে ছিল জয়শূন্য। ১৯৯৯ সালে দুটি এবং ২০১১ সালে জয় ছিল তিনটি। এবার দলের ফল কি হবে এ নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ। তবে ক্রিকেটারদের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট।