দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গেছে বাংলাদেশ দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই মাশরাফিরা বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগেই অস্ট্রেলিয়া গেছেন। মূল আসর শুরুর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে কঠোর অনুশীলনের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। কিন্তু এর আগেই গতকাল অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিরুদ্ধে একটি আনঅফিসিয়ালি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে। আর প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। কেবলমাত্র ওপেনার তামিম ইকবাল খেলেননি। এছাড়া পুরো শক্তির বাংলাদেশই ছিল। তারপরেও অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারলেন না মাশরাফিরা। ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি ব্যর্থ বোলাররাও। একমাত্র মুমিনুল হক ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে মাহদুুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। এছাড়া সৌম্য সরকার ৩৩ এবং সাব্বির রহমানের ৩১ রানের ওপর ভর করে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ২৩১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া একাদশের সামনে বড় টার্গেট দিতে না পারলেও শুরুতেই প্রতিপক্ষের দুই উইকেট নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯ রানে রুবেল-মাশরাফি দুই উইকেট নিলেও পেয়ারসন ও টার্নার দুর্দান্ত জুটি গড়েন। দুই অসি ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন। উভয়ের স্কোরই ৭৮। দুই ব্যাটসম্যানের দারুণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়েই জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের রুবেল হোসেন ৩২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। করেছেন মাত্র ১৪ রান। তবে বল হাতেও দেখাতে পারেননি ক্যারিশমা। ৭ ওভার বোলিং করে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। মিডল অর্ডারে ভরসা মুশফিকুর রহিমও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। তিনি কাল আউট হয়েছেন মাত্র ১৯ রানে। এছাড়া বল হাতে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি ও তাসকিন আহমেদ। তবে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচটা স্পিনার তাইজুল ইসলামের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। মাত্র ৭ ওভার বোলিং করে এই বোলার দিয়েছেন ৫৬ রান। আরেক স্পিনার আরাফাত ৭ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার ব্যাটিং করলেও বোলিং ও ফিল্ডিং করার সুযোগ পেয়েছেন ১৩ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে হারটা অফিসিয়াল ম্যাচ না হওয়ায় রেকর্ডবুকের কোথাও ঠাঁই না পেলেও বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তাই বটে! এমন একটি দলের বিরুদ্ধে হারলেও কাম্য ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেটাও পারলেন না টাইগাররা! এ ম্যাচ থেকে নিজেদের দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে বুঝে গেছেন কোচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২৩১/১০ (মুমিনুল ৫২, মাহমুদুল্লাহ ৪২, সৌম্য ৩৩, সাব্বির ৩১, মুশফিক ১৯, সাকিব ১৪)
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : ২৩২/৫ (পেয়ারসন ৭৮, টার্নার ৭৮; রুবেল ২/৩২, সাকিব ১/২৭, মাশরাফি ১/৩২, তাসকিন ১/৩৪)
ফল : অস্ট্রেলিয়া একাদশ ৫ উইকেটে জয়ী।