বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার কাছে হারার জন্য ভাগ্যকে দোষ দিতেই পারে সিঙ্গাপুর। ভাগ্য তাদের সহায় হলে পর পর দুবার বল মালয়েশিয়ার গোলপোস্টে লেগে হয়তো বাইরে যেত না। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সেমিফাইনালে জয়ের জন্য ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানাতে পারে। ভাগ্যের সহায়তাতেই বঙ্গবন্ধু কাপের ফাইনালে পা রেখেছে তারা। সিঙ্গাপুরকে ১-০ গোলে হারানো ম্যাচটিতে দলের একমাত্র গোলটি করেছেন ফরোয়ার্ড কুমাহরন। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটে সম্মিলিত আক্রমণ থেকে গোল করেন তিনি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সেমিফাইনাল ম্যাচের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপের সিলেট পর্বের পর্দা নেমেছে। বিকাল ৫টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। উভয় দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উঠলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে আক্রমণে উঠে সিঙ্গাপুর। তবে ডি-বক্সে ভেতর বল ধরতে ব্যর্থ হন সিঙ্গাপুরের খলোয়াড়রা। ম্যাচের ১০ মিনিটে মালয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড কুমাহরন একাই বল নিয়ে আক্রমণে উঠলেও ব্যর্থ হন তিনি। ১১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মোহাম্মদ মিজওয়ানের আক্রমণ প্রতিহত করেন মালয়েশিয়ান ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে মালয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড আদম নূর বল তুলে মারেন সিঙ্গাপুরের গোলপোস্টের উপর দিয়ে। ১৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মিডফিল্ডার বিন সোহাইমির শট ঠেকিয়ে দেন মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক মো. ফারহান। ২৩ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও পোস্টে বল রাখতে পারেননি মালয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড সিয়াহরুল আজওয়ারি। ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার ডিফেন্ডার নাজিরুল নাঈম ফ্রি কিক সিঙ্গাপুরের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে মারেন। ২৬ মিনিটে মালয়েশিয়ার আজওয়ারিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন সিঙ্গাপুরের ইমরান বিন মাজলান। ফ্রি কিক পেয়ে গোলকিপারের হাতে বল তুলে দেন মালয়েশিয়ার আজওয়ারি। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডি-বক্সে ঠিক বাইরে বল পেয়ে মালয়েশিয়ার গোলবারের উপর দিয়ে মারেন মিজওয়ান। গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়া প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে উভয় দল। ফলও পেয়ে যায় মালয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটে সম্মিলিত আক্রমণ থেকে গোল করেন মালয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড কুমাহরন। ১২ মিনিটে সিঙ্গাপুরের ইমরান মালয়েশিয়ার ডি-বক্সে ভেতর বল পেয়েও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ১৫ মিনিটে মালয়েশিয়ারর আদম নূরকে ফাউল করে হলদু কার্ড দেখেন সিঙ্গাপুরের আরাবিন।