সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারত কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে। তবে এখনো অনেক পথ বাকি আছে। বলতে পারেন কোয়ার্টার ফাইনালই নিশ্চিত হয়নি। মেলবোর্নে রবিবার ভারত মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পাকিস্তান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল হতে পারে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা আরও শক্তিশালী দল। বিশ্ব ক্রিকেটে শক্তিশালী দল হওয়ার পরও একবারও তারা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। অন্য কারো কথা বাদ দিলাম এটা আমার কাছেও বিস্ময় লাগছে। এবার তারা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। প্রতিটি ম্যাচে আফ্রিকানরা সেরা খেলা উপহার দিতে চাইবে। একটা বিষয় লক্ষণীয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত স্নায়ু চাপে ভুগে। আমি যখন খেলতাম নিজেও বেশ নার্ভার্সে থাকতাম। খুব কম ম্যাচ আছে ভারত ভালো খেলে জিতেছে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল কে খেলবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। রবিবার ম্যাচটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমি মনে করি যারা জিতবে তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের পথে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। পুরো পয়েন্ট নিয়ে যে দল  মাঠ ছাড়বে সে দলের চেহারাই পাল্টে যাবে।
পাকিস্তানকে ছোট করছি না। তারাও শক্তিশালী দল। কিন্তু আফ্রিকার সঙ্গে পার্থক্যটা হচ্ছে ব্যাট, বল ও ফিল্ডিং প্রতিটি ডিপার্টমেন্টেই তারা জ্বলে ওঠার সামর্থ্য রাখে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩০০ রান করলেও কোহলি যদি আগে আউট হয়ে যেত তাহলে কি এত বড় টার্গেট দেওয়া যেত। আফ্রিকার বিপক্ষে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ভালো খেলতে হবে। মনে রাখতে হবে আগে ব্যাট করে ৩০০’র বেশি টার্গেট না দিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকানো মুশকিল। পাকিস্তানকে অলআউট করে দিলেও ভারতের  বোলিং লাইনটাকে ততটা শক্তিশালী মনে হয়নি। যদিও বর্তমানে ওয়ানডে ৩০০ রান অতিক্রম করা অনেকটা মামুলি হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করলে তাদের ৫০ ওভারে ২৬০ বা ২৭০ রানের মধ্যে আটকাতে না পারলে ভারতীয়দের ম্যাচ বের করা মুশকিল হবে। এক্ষেত্রে  ধোনিকে বুঝে শুনে নেতৃত্ব দিতে হবে। পেস বা স্পিন বলুন কোনো বোলিংই আফ্রিকানদের জন্য যায় আসে না। প্রশ্ন উঠতে পারে ভারত টানা দুই ম্যাচ জিতলে কি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে। নিশ্চয়তা না বলা গেলেও সম্ভাবনা আছে বলা যায়। ভারতকে তখন লড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। এখানে আমি কাউকে ছোট করে দেখছি না কিন্তু পাকিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালে ভারতের গতিই থাকবে অন্য রকম। তাই মেলবোর্নের ম্যাচকে ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলব।