বৃষ্টিতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় এক পয়েন্ট পেয়েছে টাইগাররা। দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে এখন 'এ' গ্রুপে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে দুইয়ে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তিন খেলায় তিন জয় নিয়ে সবার ওপরে আরেক স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত চারের মধ্যে থাকলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে কোয়ার্টার ফাইনাল।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে 'এ' গ্রুপকেই বলা হয়েছিল কঠিন গ্রুপ। কেননা এই গ্রুপে দুই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ছাড়াও রয়েছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দল। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বর্তমানে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের নিচে। দুই দলই এখনো পয়েন্ট শূন্য। ইংল্যান্ড প্রথম দুই ম্যাচেই দুই স্বাগতিক দলের কাছেই নাস্তানাবুদ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা প্রথম ম্যাচে হেরেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। যদিও এখনো লঙ্কানদের সামনে বাকি রয়েছে আরও পাঁচটি ম্যাচ। আর ইংল্যান্ডের সামনে রয়েছে চারটি। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে তাদের সব ম্যাচেই জয় পেতে হবে। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচের পরাজয়ের পর ইংলিশদের মানসিক যে অবস্থা! তাতে হেরে যেতে পারে শ্রীলঙ্কার কাছেও। যদি ১ মার্চ লঙ্কানদের কাছে হেরে যায় ইংলিশরা, তখন তাদেরকে হারালেই টাইগারদের নিশ্চিত হয়ে যাবে শেষ আট।
সত্যি কথা বলতে কি, মাশরাফিরা শেষ আটে খেলার লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়লেও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর কথা ভাবেননি হয়তো। চিন্তা ছিল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের পর ইংল্যান্ড বা শ্রীলঙ্কাকে ধরাশায়ী করা। আর স্বাগতিক দুই দেশের সঙ্গে হারলেও ভালো খেলা। বাংলাদেশ প্রত্যাশানুযায়ী আফগানদের হারিয়েছে। কিন্তু বোনাস হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকেও পেল এক পয়েন্ট। আর এই এক পয়েন্টই বাংলাদেশকে নকআউট পর্বের দিকে এগিয়ে দিল। এখন সমীকরণটা আরও সহজ হয়ে গেল মাশরাফিদের।
২৬ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিততে না পারলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারাতেই হবে। তবে যদি ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে ইংলিশরা হেরে যায়, সেক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হারলেও একটা সুযোগ থাকবে মাশরাফিদের সামনে। তখন ইংল্যান্ডকে হারালেই নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, পরের সবগুলো ম্যাচেই জয় পেতে হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে। নতুবা হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে।
যদিও অনিশ্চয়তার এই খেলায় অসম্ভব বলে কিছু নেই। স্কটল্যান্ড কিংবা আফগানিস্তানও ঘটাতে পারে অঘটন।