আয়ারল্যান্ডের কাছে হারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমালোচনা কম হয়নি। সত্যি বলতে কি ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা হলেও বিশাল টার্গেট দেওয়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনভাবে হেরে যাবে আমিও ভাবতে পারিনি। আসলে আয়ারল্যান্ড সেদিন দারুণ খেলেছিল। দেশ হেরে গেলে কার না খারাপ লাগে। কিন্তু অতিরিক্ত হতাশা খুবই বিরক্তিকর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিছু মিডিয়া ম্যাচ হারার পর লেখালিখি করল, কারা কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে যারা আয়ারল্যান্ডের কাছে হারে! এ ধরনের মন্তব্য আমার মোটেই পছন্দ হয়নি। এক ম্যাচ হেরে কেউ যদি ধরে নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সম্ভব নয়। তারা নির্ঘাত বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন 'বি' গ্রুপ থেকে কারা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে তা এখনো ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে ভারত কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তারা বড় দুই ম্যাচে জয় পেয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের কাছে হারার পর আমার ভাবনায় ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণভাবে জ্বলে উঠবে। বিশ্বকাপে আমরা বরাবরই তাদের বিপক্ষে ভালো খেলি। তাছাড়া টানা দুই ম্যাচ হেরে গেলে সমস্যায় পড়ে যেত। রাসেলের অলরাউন্ড নৈপুণ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ এক জয় পেয়েছে। ১৫০ রানে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। বিশ্বাস ছিল জিতবে কিন্তু এতটা ভালো খেলবে তা ভাবতেই পারেনি। যাক এ জয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বসে থাকলে চলবে না। সামনে জিম্বাবুয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে হবে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা তারপরও ধরে নিলাম জিম্বাবুয়ে ও আমিরাতকে হারানো যাবে। কিন্তু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে হলে গেইলদের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে জ্বলে উঠতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো কি সম্ভব। প্রতিদিন একই ফর্মে খেলা যায় না। তারপরও বলব পাকিস্তানের বিপক্ষে যে খেলাটা খেলেছে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দুটো ম্যাচই জেতা সম্ভব। এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করাটা এ মুহূর্তে বোকামি হবে। তারপরেও বলব অনেকদিন পর বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অনেকে হয়তো বলবেন এক পাকিস্তানকে হারানোর পর পরই এতটা আশাবাদী হয়ে উঠলেন। না, এই ম্যাচ জয়ের কারণে নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটাকে এবার বেশ ব্যালেন্সড মনে হচ্ছে। জানি না তারা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কি করবে। কিন্তু তারা ঠাণ্ডা মাথায় খেললে আমি বলব এ দল নিয়েই এবার বিশ্বকাপ জেতা অসম্ভব নয়।