জানুয়ারিতে ভারতের শিলংয়ে পর্দা উঠবে এসএ গেমসের। ২০১২ সালে এ গেমস হওয়ার কথা থাকলেও ভারত নানা জটিলতায় আয়োজন মাঠে নামাতে পারেনি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানুয়ারিতে গেমস নামানোর। বাংলাদেশ অলিম্পিক, কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে অংশ নিলেও এস এ গেমসেই ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উৎসাহ জাগিয়ে থাকে। ২০১০ সালে চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে পুরুষ ক্রিকেটে সোনা জিতেছিল। ১৯৭৮ সাল থেকে অংশ নেওয়া এ গেমসে একমাত্র সোনা জয়। কমনওয়েলথ গেমসে ১৯৯০ অকল্যান্ডে আর ২০০২ সালে মানচেস্টারে শুটিং ইভেন্টে দুবার সোনা জিতেছিল। অলিম্পিক গেমসে এখন পর্যন্ত কোনো পদকই জেতা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের।
১৯৮৪ সাল থেকে এস এ (তখন ছিল সাফ গেমস) গেমস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছরই সর্বোচ্চ সোনা জিতে পদক তালিকায় শীর্ষে থাকছে ভারত। বাংলাদেশ কখনো শীর্ষে থাকেনি ঠিকই। তারপরও মূল সোনাটা আসে এস এ গেমস থেকে। গেমস ইতিহাসে বাংলাদেশের বড় সাফল্য ছিল ২০১০ সালে ঢাকায়। সেবার স্বাগতিক দেশ হিসেবে ১৭টি সোনা জিতে আলোড়ন তুলে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ সাহেদ রেজা বলেছেন, শিলং গেমসেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব। কিন্তু কীভাবে, বাংলাদেশ কি ইভেন্টগুলোতে সে ধরনের প্রস্তুতি নিতে পারবে। শাহেদ বলেছেন, আমরা কটি ইভেন্টে অংশ নেব তা এখনো চূড়ান্ত করিনি। সামনের বৈঠকে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রস্তুতি আগস্টের শুরু থেকেই শুরু হয়ে যাবে। এস এ গেমসে বাংলাদেশের মূলত সাফল্য আসে অ্যাথলেটিকস, শুটিং ও সাঁতার থেকে। কিন্তু গত গেমসে এ তিন ইভেন্টই নজর কাড়া পারফরম্যান্স শো করতে পারেনি। বিশেষ করে অ্যাথলেটরা চরম হতাশার পরিচয় দিয়েছিলেন। পদক জেতার সম্ভাবনা নেই বলে ইনচেন এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ অ্যাথলেট ও সুইমারদের পাঠায়নি। এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। যদিও বিওএ ইভেন্ট চূড়ান্ত করেনি। কিন্তু শিলং গেমসে অ্যাথলেটিকস ও সাঁতার ইভেন্টে অংশ নেবে তা নিশ্চিত বলা যায়। অনেকে বলেন, ইভেন্ট বুঝে প্রস্তুতির গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এখানে প্রাধান্য দেওয়া উচিত অ্যাথলেট, শুটার, সুইমার ও ফুটবলারদের। অন্যান্য ইভেন্টকে হালকা করে দেখার উপায় নেই। কিন্তু চার ইভেন্টে সোনা জিতলে যতটা আলোড়ন সৃষ্টি হয় অন্যক্ষেত্রে ততটা হয় না। মনে রাখতে হবে সাফের দ্রুততম মানবের খেতাব পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই অ্যাথলেট শাহ আলম ও বিমল তরফদার। প্রস্তুতি ব্যয়ের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থের অনুদান চেয়েছে বিওএ। মহাসচিব শাহেদও বলেছেন, ক্রীড়াবিদদের সাধ্যমত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। এটা নিঃসন্দেহে খুশির সংবাদ। কিন্তু এর মধ্যে জনপ্রিয় ইভেন্টগুলোকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিলে ক্রীড়াবিদরা উপকৃত হবে। জানুয়ারি মাস আসতে খুব একটা দেরি নেই। তারপরও যে সময় আছে উন্নত মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে শিলং গেমসে বড় ধরনের সাফল্য আশা করা যায়।