ক্রিকেটে বিস্ময় বালক মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল তার নিজ জন্মভূমি সাতক্ষীরায় ফিরেছেন। তার আগমনে সাতক্ষীরাসহ তার গ্রামের বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার তারালিতে বইছে আনন্দের বন্যা। সাতক্ষীরার সুপারম্যান তারকা ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান চার মাস পর ঢাকা থেকে শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে পৌঁছলে সেখানে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সাতক্ষীরার সূর্য সন্তানকে কাছে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে এলাকার হাজারও মানুষ। আনন্দে করতালি ও ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মুস্তাফিজুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে তাকে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান মিষ্টিমুখ করিয়ে সেরা খেলার জন্য অভিনন্দন জানান। জাতীয় দলে খেলে বিশ্ব খ্যাতি অর্জনের পর এই প্রথম সাতক্ষীরার মাটিতে পা রাখলেন মুস্তাফিজ। সাতক্ষীরার মাটিতে পা রেখেই মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, খেলার মাঠে ব্যস্ত থাকার কারণে গত ঈদে বাড়িতে আসতে পারিনি। এই প্রথম বাবা-মাকে ছাড়াই ঈদ কাটিয়েছি। তার মনে হচ্ছে আজ যেন ঈদ। মা-বাবা, বন্ধু ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সময় কাটাবেন ভেবে আনন্দের যেন শেষ নেই তার। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি বললেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তার প্রচেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। তিনি বলেন, আমি, সৌম্য সরকার ও রবিউর ইসলাম শিবলু এই তিনজনই সাতক্ষীরার ছেলে এবং বর্তমানে জাতীয় দলে খেলছি। আগামী ১০ বছর খেলার টার্গেট রয়েছে। আমার দ্বারা যেন দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যায় সে চেষ্টাই করব।
মুস্তাফিজ বলেন, আমাদের দেখাদেখি আগামী প্রজন্ম গড়ে উঠবে। তারাও একদিন আমাদের মতো তারকা খেলোয়াড় হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবে। সাতক্ষীরার ছেলেরা আমাদের মতো সাতক্ষীরার মুখ উজ্জ্বল করবে। মুস্তাফিজ সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আমি এত দূর এসেছি। দোয়া করবেন, আগামীতে আমি যেন আরও ভালো করতে পারি। গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় মুস্তাফিজুর রহমান সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন তার মেঝ ভাই সাবেক ক্রিকেটার মোকলেসুর রহসান পল্টু। প্রাায় ২৫ মিনিট ধরে তিনি স্থানীয় জেলা প্রশাসন, সাংবাদিক, উৎসুখ জনতার সঙ্গে সময় কাটান। বেলা ১টা ১০ মিনিটে মুস্তাফিজ সার্কিট হাউস থেকে রওনা হন গ্রামের বাড়ি কালিগঞ্জের তারালির উদ্দেশে। জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর সেখানে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। বাবা-মাকে জড়িয়ে আনন্দের হাসি নিয়ে বাবা আলহাজ আবুল কাশেম ও মা মাহমুদাকে জড়িয়ে ধরেন মুস্তাফিজ। এ সময় প্রিয় সন্তানকে চুমু খেয়ে ও মাথায় হাত দিয়ে আদর-করেন মুস্তাফিজের গর্বিত পিতা-মাতা। এর আগে থেকে এলাকার মানুষ তাদের সবার প্রিয় খেলোয়াড় মুস্তাফিজকে এক নজর দেখার জন্য গ্রামের বাড়িতে আগে থেকেই ভিড় জমাতে থাকে। উপচে পড়া মানুষের ভিড় ঠেলে তিনি পৌঁছান প্রিয় বাবা-মার কোলে।
শিরোনাম
- দুই বছরে নীলফামারীতে পুষ্টিহীনতার হার কমানোর পরিকল্পনা
- যতই বাধা-বিপত্তি আসুক ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে : দুদু
- বরগুনায় ৩ ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা, একজনের বিরুদ্ধে মামলা
- ৯০ ডিগ্রি বাঁক! ‘অদ্ভুত’ সেতু নকশায় বরখাস্ত ৭ প্রকৌশলী
- উপকূলজুড়ে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা
- ৫ আগস্টের পর কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
- মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার তবে চলবে শাটডাউন
- আইসিসিবিতে র্যানকনের মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডারের উদ্বোধন
- ইউক্রেনের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
- শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে : রিজভী
- ৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার
- গাইবান্ধায় বিল থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার
- রাজশাহীতে ডেঙ্গুতে নববধূর মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে ভ্যানচুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- প্রেমিকের সামনে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা
- বরগুনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি
- মেরিন ড্রাইভে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত
- সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের
- আমিরাতে হাটহাজারী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত
- মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী
ভালোবাসায় সিক্ত মুস্তাফিজ
মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর