আরামবাগের নিজেদের হোম ভ্যান্যু বলে কথা। শক্তিশালী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে রবিউল হাসানরা। হ্যাট্রিক করেছেন জাহিদ হাসান। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরামবাগের এই মিডফিল্ডারের হ্যাট্রিকের সুবাধে হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝ মাঠ থেকে আক্রমণভাগ পর্যন্ত দূর্দান্ত খেলে টাঙ্গাইলের ছেলে জাহিদ হাসান। খেলার ১১ মিনিটের মাথায়ই গোলের দেখা পায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ক্যামেরুনের ফরওয়ার্ডার পল এমিলির বাড়ানো বলে মিড ফিল্ডার জাহিদ হাসানের পায়ে আসে। বক্সের ভেতর থেকে আলতো ছোঁয়ায় মোহামেডানের জালে ঢুকিয়ে দেন জাহিদ। তবে গোলটি প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটেই শোধ করতে পারতো সাদা সবুজের জার্সিধারিরা। ডান পাশ থেকে কায়সার আল রাব্বি বক্সের ভেতরে থাকা কিংসলেকে দিলেও কাজে লাগাতে পারেনি। জোরালো শটটি ফিরিয়ে দেয় মাজহারুল ইসলাম হিমেল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারো গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে কলিন জন ইভানস এর শিষ্যরা। সফলও হয়। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ফ্রি কিক নেন ল্যান্ডিং ডারবোর। ফ্রি কিক শটটি বক্সের ভেতরে থেকে ডান পায়ে লুফে নেয় মিড ফিল্ডার কায়সার আল রাব্বি। সবার চোঁখ ফাঁকি দিয়ে রাব্বির জোরালো শটটি আরামবাগের জালে। সমতায় ফেরে কিংসলেরা।
এরপর পুরো খেলাই নিয়ন্ত্রণ নেয় লাল জার্সিধারি রবিউল হাসানের দল। ৬৫ মিনিটে দূর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে গোল দেয় আবারো জাহিদ। তৃতীয় গোলের দেখা মেলে ৭০ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে যায় রবিউল। রবিউলের বাড়ানো বলটি বক্সের ভেতরে থেকে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার চিনেদু মেথু মোহামেডানের জালে ঢুকিয়ে দেয়। এর ৮ মিনিট পরই রবিউলের বাড়ানো বল থেকে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করে মাঝ মাঠের দাপুটে খেলোয়াড় জাহিদ। তবে ভাগ্যদেবীও সহায় ছিল জাহিদের। শেষ গোলটি গোলপোস্টের উপরের বারে লেগে জালে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন