সমবয়সী অনেক ক্রিকেটারই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করছেন। এবং নাতিপুতি নিয়ে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। যদি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকেনও তবু সেটা কোচ কিংবা ধারাভাষ্যকার হিসেবে।
কিন্তু এউয়েন চ্যাটফিল্ড যেটা করে দেখালেন সেটা যেন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের মাঝে। ৬৮ বছর বয়সে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন কিউই সাবেক এই পেসার এবং সেটা কোচ কিংবা ধারাভাষ্যকার হিসেবে নয়, সরাসরি মাঠের খেলা থেকে!
আশির দশকে রিচার্ড হ্যাডলির নেতৃত্বে উইকেট দাপিয়ে বেরিয়েছেন চ্যাটফিল্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুনাম কুড়িয়েছেন বলের পর বল একই জায়গায় ফেলতে পারার দক্ষতার কারণে।
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয় পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে লাইন-লেন্থ ধরে রাখার দারুণ গুণ ছিল নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৩টি টেস্ট ও ১১৪ ওয়ানডে খেলা পেসারের। তবে বোলার হিসেবে নয়, চ্যাটফিল্ডকে ক্রিকেট বিশ্ব মনে রেখেছে তার ব্যাটিংয়ের কারণে। ছিলেন ক্ল্যাসিক ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান।
১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ উইকেট জুটিতে ৫০ রান করে কিউইদের জিতিয়েছিলেন এই চ্যাটফিল্ডই। এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান হয়েও সেই ম্যাচে ২১ রান করেছিলেন কিউই সাবেক পেসার।
১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও মাঠের ক্রিকেটকে ছাড়তে পারেননি চ্যাটফিল্ড। প্রথম বিভাগে খেলা চালিয়ে গেছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাঁই হয়েছে ‘নায়েনায়ে ক্লাবে ওল্ড বয়েজে’। এই ক্লাবে খেলেই তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘নায়েনায়ে এক্সপ্রেস’ তকমা!
এই নায়েনায়ে ওল্ড বয়েজ থেকেই ৬৮ বছর বয়সে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন চ্যাটফিল্ড। অবসরের কারণ খেলতে খেলতে মাঠে আঘাত পাওয়া। আঘাত না পেলে অন্তত একটা সেঞ্চুরি করে তবেই অবসর নিতেন বলে জানিয়েছেন নায়েনায়ে এক্সপ্রেস!
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত