স্টিভ রোডসের বিদায় নিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেন। বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স প্রশংসিত হলেও রোডসের কোচিংয়ের ধরন বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। কথা প্রসঙ্গে একাদশ সাজানো নিয়ে মতনৈক্যের বিষয়টিও উঠে আসে। বিসিবি প্রধান বলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে মাশরাফি ও মুশফিকের থাকার কথা না থাকলেও তাদের মাঠে নামানো হয়েছে।
স্টিভ রোডসের বিদায়ের বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি। বলেন, একেক জনের একেক রকম চিন্তাধারা থাকে। আমাদেরও একটা চিন্তাধারা আছে। এই দুটোর সমন্নয় না হওয়াটাও এখানে সমস্যা দেখছেন তিনি।
উদহারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতি বলেন, “বিশ্বকাপের আগে অনুশীলন করার জন্য আয়োজন করলাম আমরা (লেস্টারশায়ারে)। ঐচ্ছিক করে দেয়াতে কেউ আসল না। এটা তো কালচারাল মিসম্যাচ। ও (রোডস) মনে করেছে, প্রত্যেক প্লেয়ার নিজ ইচ্ছাতেই অনুশীলন করবে। কিন্তু এটা তো আমাদের সঙ্গে মিলে না। ঐচ্ছিক, তাই কেউ আসনি। তাহলে তো লাভ হলো না, আমরা এতো টাকা খরচ করে আয়োজন করেছিলাম!”
ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার আগে দীর্ঘ ছুটি ও বিশ্রাম দেওয়াটাকে টেনে আনেন বিসিবি সভাপতি। বলেন, এতে খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্ট হয়েছে।
পাশাপাশি একাদশ সাজানো নিয়ে মতনৈক্যও এখানে কাজ করেছে বলে মনে করেন নাজমুল হাসান পাপন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমি সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খেলোয়াড়দের সাথে। ওখানে একটা পরিকল্পনা হয়েছে। মুশফিকের হাতে স্লিং লাগানো। মুশফিক স্কোয়াডে ছিল না। মাশরাফি আগের দিন থেকেই নেই। অনুশীলন করেনি, প্ল্যানিং স্ট্র্যাটেজিতেও ছিল না। মাশরাফির খেলার কথা ছিল না। আমরা স্কোয়াড ঠিক করলাম। সব ঠিক হলো, কোচ ছিল সেখানে, সবাই ছিল। পরদিন মাঠে দেখি অন্য দল নেমেছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব