দুপুরের প্রচণ্ড গরমে যখন হাশপাশ চারিদিক, তখন ব্যস্ত জীবনে শীতল পরশ বুলিয়ে দেয় ধুম বৃষ্টি। এতে থমকে দাঁড়ায় ব্যস্ত মতিঝিল, গুলিস্তান। কিন্তু থেমে পড়েনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম লাগোয়া রাস্তাগুলো। দেশের ঘরোয়া ফুটবলের আলোচিত ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হাজার হাজার দর্শক ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা সাদা রঙয়ের জার্সি গায়ে নেচে-গেয়ে হাজির হন স্টেডিয়ামে। গ্যালারিতে ঢোকার মুখে সমর্থকেরা প্রিয় ক্লাবের জয়গান, ড্যানিয়েল কলিনড্রেস, মার্কোস ভিনাস, বখতিয়ার দুইশবেকভ, মতিন মিয়া, অস্কার ব্রুজোনদের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে প্রাণের সঞ্চারণ ঘটান। শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামের আবাহনী গ্যালারি ছাড়া পূর্ব, উত্তর, পশ্চিম এবং ভিআইপি গ্যালারি আন্দোলিত হয়েছে বসুন্ধরা কিংসের হাজার হাজার সমর্থকের জয়ধ্বনিতে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য! এমন দৃশ্য গত কয়েক বছরে যা ছিল বিরল। দিনটি ছিল চ্যাম্পিয়ন কিংসের। ম্যাচ শেষে বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর হাত থেকে স্বপ্নের ট্রফি হাতে নিয়ে দিনটিকে ইতিহাসের সোনালী পাতায় চিরঞ্জীব করে রাখেন কোচ ব্রৃজোন, অধিনায়ক কলিনড্রেজ, ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সহ ক্লাব ফুটবলার ও কর্মকর্তারা।
দেশের ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে আবির্ভাবের সব রেকর্ড বসুন্ধরা কিংসের। অভিষেক আসরেই প্রিমিয়ার লিগ ও স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন এবং ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হয়ে বিরল রেকর্ড গড়ে দলটি। এমন রেকর্ড নেই দেশের সবচেয়ে সফল দুই ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানের। এমনকি নেই প্রতিবেশী কলকাতার শতবর্ষীয় তিন ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল, মোহামেডান কিংবা মোহনবাগানেরও। সেই রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে বসুন্ধরা কিংস।
প্রিমিয়ার লিগের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় আরামবাগের মো. রবিউল হাসান, সেরা গোলরক্ষক শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আশরাফুল ইসলাম রানা, সর্বোচ্চ গোলদাতা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের রাফায়েল ওডোইন, লিগের সেরা খেলোয়াড় বসুন্ধরা কিংসের বিশ্বকাপ তারকা ড্যানিয়েল কলিনড্রেস, সেরা কোচ বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন, ফেয়ার প্লে জিতেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব