তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি গড়ে তুলতে নতুন এক কোম্পানি চালু করল সৌদি আরব। ‘হিউমেইন’ নামে এই নতুন প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
এই উদ্যোগ সৌদির ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার অংশ। এটার লক্ষ্য অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করা এবং তেল নির্ভরতা কমানো। কোম্পানিটি সৌদি সরকারের বিশাল পুঁজি – প্রায় ৯৪০ বিলিয়ন ডলারের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে অর্থায়ন পাবে।
হিউমেইনের মূল লক্ষ্য শুধু সাধারণ এআই নয়, বরং আরবি ভাষাভিত্তিক একটি বৃহৎ ভাষা মডেল তৈরি করা, যা সৌদি আরবসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবহারকারীদের উপযোগী হবে। এ ছাড়া তারা ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম, হাই পারফরম্যান্স কম্পিউটিং এবং আধুনিক ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনাও করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই উপযুক্ত সময় এই খাতে এগিয়ে যাওয়ার। কারণ ২০২৪ সালে সৌদির ডেটা সেন্টার বাজারের আকার ছিল ১.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার পরিকল্পনাও রয়েছে সৌদির। ‘হিউমেইন’ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছে রিয়াদ। এ সপ্তাহেই রিয়াদে আয়োজিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক, স্যাম অল্টম্যান এবং মার্ক জাকারবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত টেক উদ্যোক্তারা।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার সম্ভাবনাও আলোচনায় এসেছে। আগামী দিনে হোয়াইট হাউসে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে মার্কিন প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সৌদি প্রশাসন।
হিউমেইন প্রকল্পের প্রধান হিসেবে থাকবেন তারেক আমিন, যিনি আগে আরামকো ডিজিটাল এবং রাকুটেন-এ কাজ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা সৌদি আরবের জাতীয় এআই কৌশলের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, এবং আমি এই পথচলায় নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল