গাজীপুরে ডাকাতের ভয়ে লাঠি বাঁশ নিয়ে রাতভর পাহারায় মানুষ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নগরজুড়ে চলছে ডাকাত আতঙ্ক। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসাবাড়িতে হানা দিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের মাইকে দেওয়া হচ্ছে সতর্ক বার্তা। থানায় পুলিশ না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। নিরাপত্তাহীনতা থেকে মুক্তির উত্তরণ ঘটবে কবে এমন প্রশ্ন এখন জনমনে।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, গাজীপুরে লাঠি বাঁশ নিয়ে রাতভর পাহারা দিচ্ছে জনগণ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নগরজুড়ে চলছে ডাকাত আতঙ্ক। পুলিশ না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে টঙ্গী বিসিক, পাগাড়, শিলমুন, মরকুন, গোপালপুর, মিরেশপাড়া, বৌ-বাজার, টঙ্গী-বাজার, গাজীপুরা সাতাইশ, কলেজ গেট, আউচপাড়া, আরিচপুর, মিরেরবাজার, পুবাইল গাছা, বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, সালনা, কাশিমপুর, কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন্ এলাকায় চলছে ডাকাত আতঙ্ক। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যরা সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসাবাড়িতে হানা দিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। স্থানীয় বাসিন্দা আজাহার, লোকমান লিটনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে মাঠে কাজ করার দাবি জানান। এ বিষয়ে টঙ্গী ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড শিলমুন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রবিউল্লাহ খান বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করেন। এ সুযোগে এলাকার অপরাধীরা চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি কর্মকান্ড শুরু করে দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানুষের জানমাল ও নিরাপত্তায় পাহারার ব্যবস্থা করেছি। বিএনপি নেতা গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম রনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী লুটপাটের ঘটনায় জড়িত নন। একটি অপরাধ চক্র বিভিন্ন এলাকায় এসব কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। তাদের দমন করতে দলীয় নির্দেশনা রয়েছে।