পাহাড়ি ঢল আর ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীসহ কয়েকটি উপজেলাও বেশ প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরসহ আসবাবের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে। সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। পানির প্রবল স্রোতে অনেকের ঘরবাড়ি উপড়ে গেছে। ভেসে গেছে আসবাব ও রক্ষিত খাবার। দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।
কষ্টে দিন পার করছে এলাকাগুলোর মানুষ। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো থেকে ত্রাণ দিলেও সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বন্যার্ত এসব মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বন্যার্ত মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবর সোমবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বারোয়ামারী মরিয়মনগর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী উপহার পেয়ে ষাটোর্ধ্ব বিধবা বণিকা চিরাণ জানান, বন্যায় তাঁর ঘরবাড়ি-রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। খাদ্যাভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে। খাদ্য সহায়তা পেয়ে তিনি বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দরিদ্র এই পরিবারের মানুষগুলো বেশ কয়েক দিন ধরেই খাদ্যের অভাবে খুব কষ্টে ছিল।
বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়ে তারা খুব খুশি হয়েছে। অভাবী এই মানুষের মুখে হাসি দেখে তৃপ্ত হয়েছেন শুভসংঘের সদস্যরা। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য পলাশ আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল রাফি, রিয়ণ ও আশিক চিরাণ। আশিক চিরাণ বলেন, এই দুঃসময়ে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রমাণ করেছে, তারা সব সময় শুভ কাজে সবার পাশে থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ