ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় বরিশাল বিভাগের প্রায় দেড় লাখ জেলের বিশেষ ভিজিএফের চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে। গতকাল বরিশাল বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ তথ্য জানিয়েছে মৎস্য কর্মকর্তা। সভার সভাপতি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী আগামী সাত দিনের মধ্যে চাল বিতরণ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন জানান, সমুদ্রে মাছ শিকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় বিভাগের ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৯ জেলের প্রত্যেককে দুই কিস্তিতে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
এর মধ্যে প্রথম কিস্তির ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্টের পর ইউপি চেয়ারম্যানরা পরিষদে আসেন না। এ কারণে দ্বিতীয় কিস্তির ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না। সহকারী পরিচালক বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউএনও অথবা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চাল বিতরণ শেষ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বরিশাল বিভাগের মধ্যে উপকূলীয় ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার জেলেরা এ চাল পায়। সবচেয়ে বেশি জেলে রয়েছে ভোলায়। গতকাল সকালে বিভাগীয় কমিশনার তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জুমে যুক্ত ছিলেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রমুখ। সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন বিভাগীয় কমিশনার। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর বরিশালের অনেক হাটবাজার ও খেয়াঘাটে ইজারাদারদের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। বর্তমানে এ সমস্যা নিরসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।