বগুড়ায় ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত স্কুলছাত্র রাতুল (১৫) ৪৮ দিন চোখ মেলে তাকায়নি। গতকাল ভোর ৫টায় রাজধানী ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। রাতুল বগুড়া শহরের ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকানি মো. জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর খবর শুনে বিকালে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয় রাতুল। রাতুলের বড়বোন কলেজ ছাত্রী জেরিন জানান, তার পাশেই ছিল রাতুল। হঠাৎ পুলিশের ছোড়া চারটি ছররা গুলি লাগে রাতুলের গায়ে। এর মধ্যে একটি লাগে তার মাথায়। গুলিটি তার বাম চোখের মধ্য দিয়ে মাথার মগজে ঢুকে পড়ে। এরপর পুলিশের ছোড়া আরও অর্ধশতাধিক গুলি লাগে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতুলের স্বজনরা জানান, গতকাল বেলা ১২টার পর হাসপাতাল থেকে রাতুলের লাশ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের লাশ বগুড়া শহরের ঘোনপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে আনা হবে।