অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় সম্প্রতি বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন পঞ্চগড়ের জয়দেব দাসের মেয়ে প্রিয়ন্তি রানী। আর আটক ওই কিশোরীকে নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছে ভারতীয় মিডিয়া। গতকাল পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানান কিশোরীটির বাবা-মা।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনশি জানান, পঞ্চগড়ের উত্তর জালাসি এলাকার জয়দেব দাসের মেয়ে প্রিয়ন্তি রানী ৯ ডিসেম্বর আটোয়ারী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় উত্তর দিনাজপুরের ফতেপুর বিওপি থেকে বিএসএফ তাকে আটক করে চোপরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিচারক তাকে কোচবিহারের শহীদ বর্ধনা স্মৃতি আবাসিক হোমে পাঠিয়ে দেয়।
আর এ নিয়েই ভারতীর মিডিয়া মিথ্যাচার শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কিশোরীটির বাবা-মা। তারা জানান, ভিসা না থাকায় চোখের অসুখের চিকিৎসা নিতে অবৈধভাবে ভারতের এক দুঃসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েকে পাঠিয়ে দেন তারা। কিন্তু এ সময় তাদের মেয়েকে আটক করে বিএসএফ। আটকের পর ভারতের মিডিয়া ঘিরে ধরে প্রিয়ন্তিকে। এ সময় ‘প্রিয়ন্তির দাদা’ দাবি করে এক ব্যক্তির মিথ্যা সাক্ষাৎকার প্রচার করে মিডিয়াগুলো। সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি বলেন, ইসকনের সদস্য হওয়ায় প্রিয়ন্তি ও তার পরিবারের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চলছিল। নির্যাতনের ভয়ে মেয়েটিকে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বাবা-মা। কিন্তু খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মেয়েটির বাবা জয়দেব দাস জানান, তারা ইসকনের সদস্য নন। তারা সনাতন। মেয়ে চোখে একটু কম দেখে। ভারতীয় ভিসা না পেয়ে চিকিৎসার জন্য তাকে অবৈধ পথে ভারতে পাঠানো হয়েছে। আমরা পঞ্চগড়ে অনেক শান্তিতে আছি। আমাদের ওপর কোনো নির্যাতন হয়নি। ভারতীয় মিডিয়া ভয়ংকরভাবে মিথ্যাচার করছে। এতে আমরা খুব বিব্রত অবস্থায় পড়েছি। এর তীব্র নিন্দা জানাই।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনশি জানান, ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। তরুণীর বাসায় গিয়ে খবর নেওয়া হয়েছে। তার বাবা-মা সম্পূর্ণ সুস্থ। তারা ইসকন ভক্ত নয়, সনাতনী। মূলত তরুণী অসুস্থ। ভিসা ছাড়া চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আটক হয়েছে। ভারতের মিডিয়া গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।