জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার লক্ষ করা যাচ্ছে। অথচ এতে ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ উপলক্ষে নগদ প্রায় ৩২ লাখ টাকায় বিশেষ ট্রেনের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করেছে, এতে রেলের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতির পূর্বাপর ইতিহাস বা নজির না জেনে পক্ষপাতমূলকভাবে সমাজমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে। রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা অনুরূপ কর্মসূচির কারণে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।এ ধরনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান না করলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নিয়মিত ট্রেনের টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা কাক্সিক্ষত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টিকিট করার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পান না বিধায় বিনা টিকিটে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাক্সিক্ষত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
আরও বলা হয়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান করার ফলে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে দলের নেতা-কর্মীরা ওই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে যেমন কাক্সিক্ষত রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে, অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরাও তেমনি বাড়তি ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
জানানো হয়, চার জোড়া বিশেষ ট্রেন সাপ্তাহিক অফ-ডে থাকা নির্ধারিত রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে। তা ছাড়া আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোনো ট্রেনের যাত্রা বিঘিœত হবে না অর্থাৎ এসব রুটে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
রেলওয়ে জানায়, এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আগের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।