ডেঙ্গু প্রতিরোধে অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতা খুব একটা পরিলক্ষিত হয়নি দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা নানা সময় উপদেষ্টাদের নানা কথা শুনছি, নানা পদক্ষেপের বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে যে আরও তৎপর হওয়া দরকার, সেটা খুব একটা পরিলক্ষিত হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকার দুই মহানগরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসাসেবা ও রক্তের জন্য হটলাইন এবং ওয়েবসাইট চালুর কথা জানান তিনি।
রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে ২ শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। প্রতিদিন ১০-১২ জন করে মারা যাচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধযোগ্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, করোনা প্রথম দিকে প্রতিরোধ করা যায়নি। কারণ তার কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। কিন্তু ডেঙ্গু তো অনেক পুরনো রোগ। এটা একটা নির্দিষ্ট সময় হয়। বর্ষাকালে এটা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এটা তো শেখ হাসিনার আমল না। তাঁর ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হয়েছেন। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওষুধ রাখার যে গোডাউন, সেটি অন্য কাজে ব্যবহার করতেন। সেখানে ডেঙ্গুর কোনো ওষুধ ছিল না। তাঁরা যেহেতু হরিলুটের সরকার, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারে। কিন্তু এখন তো জনসমর্থিত সরকার। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। এতে জীবনহানি যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাসপাতালে সিট সংখ্যা বাড়ানো, বিশেষ করে ঢাকার হাসপাতালে সিট সংখ্যা বাড়ানো উচিত ছিল।
এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপো?রেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়ালের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়। রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী প্রমুখ।