তিন ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বি ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণে ভর্তি হয়েছিল ঢাকার মিরপুরে একটি মাদরাসায় হিফজ বিভাগে। কোরআনের ১০ পারা মুখস্থও করেছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার মিছিল দেখতে যায় রাব্বি। মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলি রাব্বির বুক ভেদ করে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। গলাচিপা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের জুয়েল সিকদার ও ফিরোজা দম্পতির সন্তান রাব্বি। বাবা ঢাকার মিরপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় থাকেন। মোজাইক ও টাইলসের কাজ করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জুয়েল সিকদার বলেন, ‘পুলিশের একটি বুলেট আমার পোলাডা মাইররা হালাইছে। রাব্বির লাশ গ্রামের বাড়ি আনার চেষ্টা করলে স্থানীয় (মিরপুর) আওয়ামী নেতা-কর্মীরা মামলার ভয় দেখায়। বলে- মিছিলে তোমার পোলা গেছে কেন? এখন তোমার বিরুদ্ধে মামলা হবে। জানাজানির ভয়ে বাধ্য হয়ে মিরপুর শিশু কবরস্থানে ছেলেকে দাফন করি।’ রাব্বির মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘বাঁইচা থাকলে আমার ছেলে কোরআনের হাফেজ অইতো। আমরা মইরা গেলেও শান্তি পাইতাম। ছেলে কোরআন পড়তো আর আমাদের জন্য দোয়া করতো। ছেলেকে হাফেজ বানানোর স্বপ্ন পূরণ হলো না। আমার ছেলেতো রাজনীতি করে না ওকে কেন মারলো।