ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর-দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগরে গতকাল ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ-ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষে জড়িত এক পক্ষ আহলে সুন্নাতুল জামাত এবং অপর পক্ষ তাবলিগ জামাতের অনুসারী জানান স্থানীয়রা। পুলিশ জানায়, গত সোমবার ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া থেকে দৌলত বাড়ি দরবার শরিফের সৈয়দ নাঈম এবং মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগরে পৌঁছলে তাবলিগ জামাত নেতা রহমত উল্লাহর সমর্থনে ওই গ্রামের লোকজন বাধা দেন এবং কামাল নামে একজনকে মারধর করেন। এর জেরে বৃহস্পতিবার সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকেরা চম্পকনগরে হামলা চালান। চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরারগাঁও ও নুরপুর গ্রামে লোকজনও সংঘর্ষে জড়ান।
পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাছুম মিয়া জানান, হাসপাতালে ৩০ জনের বেশি চিকিৎসা নিয়েছেন। গেরারগাঁও গ্রামের নাসির উদ্দিন বলেন, জশনে জুলুস নিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন ঝামেলা হয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।