বগুড়ায় বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। রোগী বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। সরকারি হিসেবেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ জ্বর ও সর্দি-কাশি আক্রান্ত ২ শতাধিক মানুষ।
জানা যায়, বগুড়ায় কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। দিনে সূর্যের তাপে কাহিল হয়ে পড়ছে জনজীবন। গরমের কারণে অনেকে দিনে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। গরমের সঙ্গে জেলায় বাড়ছে রোগবালাই। রবিবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১২৭ শিশু এবং সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৪৪ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি বেশির ভাগই জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ব্রংকিওলাইটিস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গতকাল রোগী বেড়েছে আরও আটজন। বর্হিবিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকেই।
চিকিৎসকরা জানান, তীব্র গরমে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শিশু ও বৃদ্ধরা। পাঁচ ধরনের সমস্যা নিয়ে বেশি শিশু রোগী আসছে। এর মধ্যে রয়েছে সর্দি-জ্বর, শরীরে র?্যাশ ওঠা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা। ভাইরাসজনিত সংক্রামক ব্যধি আক্রান্ত শিশুদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পাড়া-মহল্লার ফার্মেসি থেকে ওষুধ না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আশিক উর রহমান জানান, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। শিশু ও বয়স্ক রোগীই বেশি। হাসপাতালে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সোনাতলা উপজেলার ৯ মাস বয়সি শিশু আবিদ হাসান। তার মা মিষ্টি বেগম জানান, বাচ্চার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। বুকে চাপ আর কাশি ছিল। হাসপাতালে এনে চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ। চার দিন ধরে চিকিৎসা চলছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বাড়তি যত্ন নিতে হচ্ছে। জনবল ও শয্যা সংকট নিয়েও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। গরমের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। গরম কমলে এ ধরনের রোগবালাই কমে যাবে।