মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বসতঘরে আটকে রেখে এক যুবতীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করার চেষ্টা এবং হাতুড়িপেটায় হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় আম্বিয়া (৪২) নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পশ্চিম সিংপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার যুবতীর নাম দীপা বেগম (৩০)। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পশ্চিম সিংপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে বিবাহিত রিপন পাঁচ দিন আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে দীপা নামে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সঙ্গে গর্ভপাত করানোর জন্য নিয়ে আসেন আরও দুই নারীকে। পরে মঙ্গলবার বিকালে দীপার গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় দীপাকে হাতুড়িপেটা করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। ওসি ইয়াসিন মুন্সী বলেন, ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
দীপার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় গর্ভপাত ঘটানোর টিমের সদস্য আম্বিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। তবে অভিযুক্ত রিপন শেখ পালিয়ে যায়।
রিপনের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, ‘তার স্বামী রিপন ওই নারীকে ঘরে আটকে রেখে অজ্ঞাত দুই নারীর সহযোগিতায় জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হাতুরি পেটা করেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাশফি জানান, নির্যাতনের কারণে ওই নারী স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তার হাত-পায়ের হাড় ভাঙা।