গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বহু রাস্তাঘাট, বাড়ি ঘর এখন পানির নিচে রয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ক্ষতিগস্ত হয়েছেন মৎস্য চাষিরা। আমনের বীজতলাও নষ্ট হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
স্থানীয়রা বলছেন পর্যাপ্ত ড্রেনেজ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা এবং সংশ্লিষ্টরা উদাসীন হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও সদরের টুমচর, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, চরলরেন্সসহ বেশ কয়েকটি চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ স্থানে রাস্তা ঘাট ও কাঁচা পাকা ঘরের সামনে এখন হাটু পরিমান পানি। কোথাও ঘরে ঢুকে গেছে পানি। পুকুর ও ঘের ভেসে ছোট বড় মাছ বের হয়ে গেছে বহুস্থানে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেক স্থানে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ বলছেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর বিভিন্ন স্থানে খাল-নদী বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ এবং দখল দূষণের কারণে এখন পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই।
এতে করে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানিবন্দী হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এমনটি ঘটবে না বলে মতামত দেন সচেতনরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল