চট্টগ্রাম বন্দরনগরী থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে সুন্দর শহর রাঙামাটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বলে এ শহরকে সৌন্দর্যের রানি বলা হয়। রাঙামাটিতে প্রবেশ করতেই আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ, উঁচু-নিচু পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত ঘন-সবুজ অরণ্যের অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য মন কেড়ে নেয়। যাদের এসব পথে যাতায়াত করার অভ্যাস নেই তারা ভয় পাবেন। রাঙামাটির পশ্চিমে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য, উত্তরে পার্বত্য খাগড়াছড়ি এবং দক্ষিণে পার্বত্য বান্দরবন জেলা। এর মোট আয়তন ৬ হাজার ৪৮১ বর্গকিলোমিটার। কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হওয়ার কারণে রাঙামাটিতে গড়ে ওঠে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। ৭০ দশকের শেষদিকে সরকার রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে এবং পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে আকর্ষণীয় স্পট স্থাপন করে। পর্যটন করপোরেশন স্পটে হোটেল, অফিস এবং দুই পাহাড়ের মাঝে একটি আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু স্থাপন করা হয়। রাঙামাটি শহরের অদূরে ঝুলন্ত সেতুর পূর্বদিকে বিশাল জলরাশিসহ ছোট-বড় বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে সবুজ পাহাড়। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি ও মনোলোভা আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলো উপভোগ্য। এখানে আছে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু, কৃষি খামার, শুভলং ঝরনা ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য, পেদা টিংটিং রেস্টুরেন্ট, সাংফাং রেস্টুরেন্ট, চাকমা রাজার বাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, জেলা প্রশাসকের বাংলো, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের সমাধি এবং উপজাতিপাড়া ও প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার অপূর্ব দৃশ্য। রাঙামাটি ১২ মাসই আন্তরিক আমন্ত্রণ জানায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের।
আফতাব চৌধুরী