বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি নিউমার্কেট থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদীন, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, ডিবির সাবেক ডিসি মো. আবদুল বাতেন, মো. মোখলেসুর রহমান, ডিবির সাবেক এডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল, গোলাম সাকলাইন, ডিবির সাবেক এসি মাহমুদ নাসের জনি, ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আবু আজিফ ও সিরাজুল ইসলাম খান। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যান আসামিরা। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২৯ ডিসেম্বর তাঁকে দুটি ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিন পেয়ে তিনি এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) নথিভুক্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে বাদী কর্নেল (অব.) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাে র প্রতিবাদ করার কারণে সেনাবাহিনী থেকে জোর করে আমাকে অবসরে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান প্রটেকশন অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করি। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষী থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। সরে যাওয়ার জন্য রাজি না হওয়ায় প্রথমে আমাকে গুম করা হয়। এরপর দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় এবং অন্যায়ভাবে ২৫ দিন জেল খাটায়।’