গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গুমের শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রাজধানীর গুলশানে কমিশন প্রধানের কাছে অভিযোগ জমা দেন তিনি। গুমের রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনাসহ অভিযোগ জমা দিয়ে সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গুম-খুনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হবে। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িতদের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা। গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করতে অনুরোধ জানান বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসানসহ যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা। সেই সঙ্গে দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। পরে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন এবং আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ওই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ পাস অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন ঝুলে ছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১১ আগস্ট প্রায় ৯ বছর পর দেশে ফিরে আসেন বিএনপি সরকারের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।