কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যাকান্ড মামলায় এখনো মূল অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। অভিযুক্তদের ধরতে ও শাস্তির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় ‘নবান্নে চল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই হাসপাতালের সদ্য পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-হত্যাকান্ডে যুক্ত ব্যক্তিদের আড়াল করার অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির’ অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছে। এরই মধ্যে এ দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন থানা ঘেরাও করে মমতার পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপিও। কোনো রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই আগামীকাল ‘নবান্নে চল’ কর্মসূচির সমর্থনে রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ শামিল হতে পারে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে সাধারণ নাগরিক, রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ছাড়াও যত অরাজনৈতিক সব সংগঠনকে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল দাবি তিনটি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ, দোষীদের চরম শাস্তি ও রাজ্যে নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। জানা গেছে, এ আবহে বাংলাদেশের মতো গণ অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছে নবান্নও। এ আন্দোলনকে সামাল দিতে এরই মধ্যে নবান্নকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কোন পথ দিয়ে আন্দোলনকারীরা নবান্নে আসবেন। কলকাতার রাজপথে কোন জায়গায় আন্দোলনকারীরা জমায়েত হতে পারেন, সে সব জায়গায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা। এ অভিযানকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে রাজ্য পুলিশ ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা এরই মধ্যে জরুরি বৈঠক সেরে ফেলেছেন।
প্রশাসনিক স্তরে বিভিন্ন কৌশল খতিয়ে দেখছেন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কলকাতা ও হাওড়ায় আসার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।