সালটা ২০০৬। রুশ প্রযুক্তিবিদ পাভেল দুরভ প্রতিষ্ঠা করেন রাশিয়ার ফেসবুক বিকল্প ভিকোনতাকতে (ভিকে)। আট বছর পর ভ্লাদিমির পুতিনের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে হয়রানি করার পর তিনি তার শেয়ার ৩০০ মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি করতে বাধ্য হন। অবসর গ্রহণের পরিবর্তে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি তৈরি করেন টেলিগ্রাম মেসেজিং সেবা। বিষয়টি অদ্ভুত। বিশ্বের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর একটি গড়ে তোলা এবং তা একাধিকবার করা, বিশেষ করে রাশিয়ার মতো অত্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধমূলক দেশে সত্যিই চমৎকার একটি বিষয়। সম্প্রতি টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভকে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসের উত্তরে লো বোর্জে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। টেলিগ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের জন্য একটি ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় ৩৯ বছর বয়সি দুরভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দুবাইয়ে নির্বাসিত পাভেল কোম্পানির জন্য বড় পরিকল্পনা করে রেখেছেন এবং তাকে দেওয়া বিশাল অঙ্কের অফার সত্ত্বেও তিনি কোম্পানিটি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে তিনি জানান, ভবিষ্যতে টেলিগ্রামকে পাবলিক করা নিয়ে ভাবছেন এবং ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিনিয়োগের প্রস্তাবও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাভেল ২০০০-এর দশকে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ফিলোলজি (সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব) বিষয়ে স্নাতক করেন। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং ফেসবুকের প্রতিষ্ঠার সময়েই ছাত্রদের জন্য কিছু ওয়েবসাইট ডিজাইন করেছিলেন, যা তাকে ২০০৬ সালে ভিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। ভিকে প্রতিষ্ঠার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই নিকোলাই এবং বন্ধু ও সহপাঠী ইলায়া পেরেকপস্কি, যিনি বর্তমানে টেলিগ্রামের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা।