শেরপুর জেলায় ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বসবাস করেন গারো ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বর্মা জনগোষ্ঠীর ২৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে আছেন কোচ ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া হোডি আছেন ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ, হাজং ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, ডালু ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শেরপুর জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ-২০২৩-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘কী ফাইন্ডিং প্রকাশনা’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জরিপে বলা হয়, শেরপুর জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ কোনো দিন স্কুলেই যায়নি। এ জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশ মানুষের স্থায়ী কোনো কাজ নেই। বাকি যারা স্থায়ী কাজ করেন তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই কৃষিজীবী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিদুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। জরিপ নিয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এ প্রকল্পের পরিচালক ও ব্যুরোর উপপরিচালক ফারহানা সুলতানা। শেরপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজা জেসমিন বক্তব্য দেন।