জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, আধিপত্যবাদীদের সহায়তায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, ঢাকার রাজপথে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে গণতন্ত্র হত্যার পথ সূচনা করে পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর বিগত ১৭ বছরে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ১১ জন নেতৃবৃন্দসহ সারাদেশের হাজার হাজার জামায়াত-শিবির, বিএনপির নেতা-কর্মী, আলেম-উলামা, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের অসংখ্য জনসাধারণকে হত্যা, গুম ও খুন করেছে এবং জেল-জুলুম, হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনে ৫ আগস্ট দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রতীক শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রুকন ও নেতা-কর্মীদের সংগঠন পরিচালনার পাশাপাশি বৈষম্যমুক্ত দেশ ও জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। সততা, যোগ্যতা ও ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
১৪ অক্টোবর সোমবার দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিনাজপুর জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, দিনাজপুর অঞ্চল জামায়াতের টিম সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন মোল্লা ও দিনাজপুর জেলা উত্তর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা উত্তর নায়েবে আমীর ও সাবেক বিরল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা আফজালুল আনাম, জেলা দক্ষিণ নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাড. মাহবুবুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জামায়াত নেতা রাজিবুর রহমান পলাশ, জেলা উত্তর সেক্রেটারী মাওলানা রবিউল ইসলাম, জেলা দক্ষিণ সেক্রেটারী সাইদুল ইসলাম সৈকত প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল