চুরি হয়ে যাওয়া মূল্যবান কোনো কিছু খুঁজে না পেলে মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। আর যদি সেই চুরি যাওয়া জিনিসটি হয় বিলাসবহুল একটি ফেরারি গাড়ি, তাহলে চিন্তা আর হতাশার সীমা থাকে না। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের গ্রিনউইচ এলাকায়। সেখান থেকে চুরি হয়ে যায় একটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার ডলার বা প্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ফেরারি গাড়ি। মালিকের কাছ থেকে চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান শুরু করে।
গাড়ির মালিক জানান, চুরি হওয়া গাড়ির ভেতরে একটি এয়ারপড রয়ে গেছে। এই তথ্য পেয়ে পুলিশ ব্যবহার করে অ্যাপলের ফাইন্ড মাই অপশন। শুরু হয় এয়ারপডের অবস্থান শনাক্তের প্রক্রিয়া। প্রথম দিকে তেমন কোনো সাফল্য না এলেও শেষ পর্যন্ত এয়ারপডের সংকেত পাওয়া যায় একটি গ্যাস স্টেশনে। সেই সংকেতের সাহায্যে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় এবং গ্যাস স্টেশন থেকেই উদ্ধার করে চুরি যাওয়া ফেরারি গাড়িটি।
পুলিশ জানিয়েছে, চোরেরা ফেরারি গাড়িটি চালাতে পারছিল না। কারণ, তারা বিকল্প কিছু পদ্ধতি দিয়ে সেটি চালানোর চেষ্টা করেছিল। এরই মধ্যে চোরদের বিরুদ্ধে অতীতে গাড়ি চুরির অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার চুরি ও জরিমানা করার ঘটনা রয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, যা একসময় মনে হচ্ছিল একটি অসম্ভব কাজ, তা সম্ভব হয়েছে ছোট্ট একটি এয়ারপডের কারণে। অ্যাপলের অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেরারি গাড়িটি দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এত মূল্যবান একটি গাড়ি হারিয়ে যাওয়ার পরও ছোট্ট এক জোড়া এয়ারপডের সাহায্যে তা উদ্ধার হওয়া সত্যিই অভূতপূর্ব।
এই ঘটনার ফলে আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষমতা আবারও প্রমাণিত হলো। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার যে কতটা কার্যকর হতে পারে, তা এই ফেরারি উদ্ধারের কাহিনীতেই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল