ব্রণ হলো ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। ব্রণে ভোগেনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ-এর’ তথ্যানুসারে- গড়ে ১০ জনের মধ্যে একজন এই সমস্যায় পড়েন। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে কী কারণে হচ্ছে সেটা জানা দরকার।
কেন ব্রণ হয়?
নানা কারণে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে হরমোনের পরিবর্তন তন্মধ্যে একটি। তা ছাড়া রোদের তাপ আর বাইরের ধুলাবালিতে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। অনেক ক্ষেত্রে ব্রণ ত্বকের তৈলাক্ততার জন্য হতে পারে। অনেকের আবার বংশপরম্পরায় হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিনের অভাব, স্ট্রেস, অপর্যাপ্ত ঘুম এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যেও হতে পারে।
হরমোনের কারণে যে রকম ব্রণ হয়
রিয়েলসিম্পল ডটটমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ব্রুক জেফি বলেন, মানবদেহে হরমোনের ওঠানামার কারণে এই ব্রণ ওঠে। যা ব্যথাযুক্ত, গভীর, দানাদার হয়। আর মুখমন্ডলের নিচে ও গলায় হয়ে থাকে। সাধারণত উঠতি তরুণ ও নারীদের মাঝে এ প্রবণতা বেশি দেখা যায়; বিশেষ করে মাসিক, ও গর্ভাবস্থায়। এ সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ত্বকের তেল নিঃসরণ বাড়ায়। যা লোমকূপ বন্ধ করে ব্যাকটেরিয়ার পরিবেশ তৈরি করে।
প্রতিকার : দুভাবে এই ব্রণের চিকিৎসা করা হয়। প্রথমত লোমকূপ পরিষ্কার। আর দ্বিতীয় ধাপ ওষুধ গ্রহণ। এই হরমোন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমাতে দুগ্ধজাত খাবার এড়ানো উচিত।
ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া ব্রণ
অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে হওয়া ব্রণ দেখতে ফুসকুড়ির মতো লাগে। মুখ বা শরীরের যে কোনো জায়গায় দেখা দিতে পারে। বেশি তেল নিঃসরণ যেখানে হয় সেখানেই বেশি ওঠে। যেমন- কপাল, গাল বা নাক।
প্রতিকার : এক্ষেত্রে ত্বকে কী পরিমাণ ব্রণ উঠেছে সেই অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সাধারণত বেঞ্জোয়েল পারোক্সাইড সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ব্যবহারে উপকার মেলে। সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া-রোধী উপাদান যেমন ‘ক্লিন্ডামাইসিন’ সমৃদ্ধ লোশন মেখে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।