শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

ডার্ক ওয়েব-ডিপ ওয়েব

ইন্টারনেটের যে জগৎ আমাদের অচেনা

রণক ইকরাম
প্রিন্ট ভার্সন
ইন্টারনেটের যে জগৎ আমাদের অচেনা

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের লাখো কোটি ওয়েবসাইট আমাদের সামনে থাকলেও এর পেছনেও রয়েছে আরও একটি জগৎ। সেই জগৎকে বলা হয় ডিপ ওয়েব। ডিপ ওয়েবের কোনো কিছুই সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। আর ডিপ ওয়েবেরও গভীরে আরও গোপনে থাকে রহস্যময় ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েবকে বলা হয় অপরাধ ও অপরাধীদের স্বর্গ। প্রচলিত ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ডার্ক ওয়েবের কোনো অ্যাকসেস নেই। এর জন্য আলাদা ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য মানুষকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা নয়। কারণ ডার্ক ওয়েব ব্যবহার বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সচেতনতা এবং জানার পরিধি বাড়ানোর জন্যই আজ আমরা ইন্টারনেটের অচেনা জগৎ সম্পর্কে জানব।

 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা WWW

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে আমরা WWW ব্যবহার করি। এর মানে হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। এটি একটি তথ্যভাণ্ডার, যেখানে তথ্য বা নথিপত্র থাকে। আর এগুলো ইন্টারনেট দ্বারা অ্যাকসেস করা যায়। ১৯৮৯ সালে টিম বার্নার্স লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবন করেন। এটি হলো ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার প্রাথমিক সরঞ্জাম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওয়েবসাইটগুলোকে হাইপারটেক্সট লিঙ্কগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। হাইপার লিঙ্কগুলো ব্যবহারকারীদের একটি ডোমেইনের অধীনে, একাধিক ওয়েব পেজ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের তিনটি স্তর। যথা :

এক. সারফেস ওয়েব বা ইন্টারনেটের দৃশ্যমান অংশ। দুই. ডিপ ওয়েব বা গভীর অংশ। আর তিন. ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের অদৃশ্য বা লুকায়িত অংশ। ডার্ক ওয়েব দিয়ে ব্যবহারকারীদের এবং ওয়েবসাইট মালিকদের পরিচয় লুকিয়ে রাখা যায়।

 

সারফেস ওয়েব

সারফেস ওয়েব ইন্টারনেটের একমাত্র দৃশ্যমান অংশ। স্পষ্ট করে বললে আমরা সচরাচর ইন্টারনেটের যে অংশটিতে বিচরণ করে বেড়াই সেটিই সারফেস ওয়েব। সারফেস ওয়েবের সব ওয়েবসাইট  সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনেই খুঁজে পাওয়া যাবে। সারফেস ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি ছোট অংশ, যেটি জনসাধারণের জন্য একমাত্র অ্যাকসেসযোগ্য অংশ। বলা হয়ে থাকে সারফেস ওয়েব হচ্ছে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাত্র ১০ শতাংশ।

গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ওয়েবসাইট সাধারণ সারফেস ওয়েবের অন্তর্ভুক্ত। সারফেস ওয়েবের সাইটগুলো সাধারণত .com, .org, .in, .ae   ইত্যাদি ডোইমেন ব্যবহার করে। এসব ওয়েবসাইটে অ্যাকসেস বা প্রবেশ করতে কোনো বিশেষ কনফিগারেশন প্রয়োজন পড়ে না। বলা হয়ে থাকে এই অংশের সাইজ ১৯ টেরাবাইট, যেখানে প্রায় ১০০ কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে।

 

ডিপ ওয়েব

ডিপ ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি লুকানো অংশ। এই অংশটি গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন থেকে লুকানো থাকে। সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন ওয়েবসাইটগুলোকে ইনডেক্স করে রাখে। যেন খুঁজলে সেগুলো পাওয়া যায়। তবে কোনো ওয়েবসাইট যদি সার্চ ইঞ্জিনকে ইনডেক্স করার অনুমতি না দেয়, তাহলে সেগুলো সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পাবে না। আর এটাই ডিপ ওয়েব। একটি ওয়েবসাইটের ব্যাক এন্ডে যা যা থাকে সেগুলো ডিপ ওয়েবের অংশ। ডিপ ওয়েব সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। ডিপ ওয়েব সাধারণত ব্যাংকিং, ক্লাউড স্টোরেজ, সরকারি তথ্য, ওয়েবমেইল বা অন্যান্য পেমেন্ট পরিষেবা ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়। ডিপ ওয়েবে প্রবেশ করতে আইপি ঠিকানা কিংবা সরাসরি ইউআরএল দরকার। অনেক ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য সিকিউরিটি থাকে। ডিপ ওয়েবকে ডিপ নেট, দ্য ইনভিজিবল ওয়েব, হিডেন ওয়েব, আন্ডার নেট ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।

 

ডার্ক ওয়েব

ডার্ক ওয়েব বা ডার্ক নেট হচ্ছে ডিপ ওয়েবেরও গভীরে আরও একটি লুকায়িত অংশ। ইন্টারনেটের এই অংশে নিজের ছদ্ম অবস্থা বজায় রেখে কাজ করতে পারেন। সাধারণ সাইটে কেউ ব্রাউজ করলে আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে তাকে ট্রেস করা সম্ভব। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে সেটা সম্ভব নয়। ডার্ক ওয়েব ডিপ ওয়েবের তুলনায় অনেক ছোট। মূলত নিষিদ্ধ ও বেআইনি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ডার্ক ওয়েব। এই ওয়েব অ্যাকসেসের জন্য আলাদা কনফিগারেশনের সফটওয়্যার প্রয়োজন পড়ে। টর ব্রাউজার ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে ডার্ক ওয়েবের ওয়েবসাইট অ্যাকসেস করা যায়। ডার্ক  ওয়েবের ওয়েবসাইটগুলোর নাম যেমন অ™ভুত হয়, তেমনি এর ডোমেইন নামও অ™ভুত হয়ে থাকে। সারফেস ওয়েবের ডট কম ডট নেটের মতো ডার্ক ওয়েবের ডোমেইন নেমে থাকে ডট অনিয়ন। টর ব্রাউজার বা ডার্ক ওয়েবে সারফেস ওয়েবের সাইটগুলো ভিজিট করা গেলেও ডার্ক ওয়েবের সাইটগুলো সাধারণ ব্রাউজারে ওপেন হয় না। বেশির ভাগ হ্যাকারই ডিপ ওয়েব ও ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে থাকে।

ডার্ক ওয়েবে অবৈধ কার্যকলাপ, জুয়া, ড্রাগ, শিশু পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ইত্যাদির মতো খারাপ কার্যক্রম হয়ে থাকে। সেখানে প্রফেশনাল হ্যাকার থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধী ভাড়া করা যায়। ডার্ক ওয়েবে সাধারণ অনলাইন কারেন্সিতে লেনদেন হয় না। সেখানে বিট কয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট প্লেসের সবচেয়ে বড় অংশই ডার্ক ওয়েবে। অনলাইনে টাকা চুরি, ওয়েবসাইট হ্যাকিং, ব্যক্তিগত ইনফরমেশন চুরি, সরকারি গোপন নথি, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি, চোরাকারবার ইত্যাদি ডার্ক ওয়েবের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

 

কীভাবে সৃষ্টি হলো ডার্ক ওয়েব?

ব্যক্তিগত, গোপন তথ্যাদি এবং ব্যাক অ্যান্ড ডাটা সুরক্ষার জন্য অটোম্যাটিক্যালি সূত্রপাত হয়েছে ডিট ওয়েবের। কিন্তু ঠিক কীভাবে ডার্ক ওয়েবের জন্ম হলো এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের শুরু থেকেই মানুষ বিভিন্নভাবে নিজের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টায় রত ছিল। মূলত এই ধারণা থেকেই প্রক্সি সার্ভার, ভুয়া আইপি ইত্যাদির প্রচলন ঘটে। এগুলোকেও অনেকে ক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েবের আওতায় ধরা যায়। বহু আগে থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ গোপনীয়তার সঙ্গে নিজেদের অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চাচ্ছিল। সামরিক বাহিনী, বিপ্লবী, ব্যবসায়ী, হ্যাকার, এমনকি অনেক দেশের প্রশাসনও এমন একটি ইন্টারনেট ব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছে যার মাধ্যমে তারা গোপনে নিজেদের ভিতর তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। মূলত সেই ধারণা থেকেই ডার্ক ওয়েবের উদ্ভব। সাধারণত অনলাইনে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, ডাউনলোড-আপলোড পর্যবেক্ষণ করার অ্যাকসেস থাকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা যে কারও কাছেই তারা তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এভাবে যেন সহজেই কেউ ট্রেস করতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েবের সৃষ্টি এবং আস্তে আস্তে অপরাধীরা এসে এর ছায়াতলে ভিড় করে।

 

কী আছে এখানে?

ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। এই আগ্রহের বিষয়টি হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের কনটেন্ট। অনেকের ধারণা ডার্ক ওয়েবে বুঝি কেবল খারাপ বা নেগেটিভ বিষয়ই চর্চা হয়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ধরুন ডার্ক ওয়েব থেকে আপনি একজন হ্যাকার ভাড়া করলেন। সেই ইথিক্যাল হ্যাকার টাকার জন্য আপনি যা করতে বলবেন তাই করে দেবে। এখন বিষয় হচ্ছে আপনি কারও ক্ষতি করার জন্য হ্যাকারকে ব্যবহার করবেন নাকি নিজের কোনো কিছু উদ্ধার বা সুরক্ষার জন্য হ্যাকারকে ব্যবহার করবেন। তাই ব্যবহারের ওপরই আসলে ভালো-মন্দটা নির্ভর করে।

তবে এটা সত্য যে, ডার্ক ওয়েবে এমন সব জিনিস আছে, যা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারবে না। বিরল মাদক, অস্ত্র থেকে শুরু করে পেশাদার খুনিও ভাড়া পাওয়া যায় এখানে। বিশ্ব কাঁপিয়ে দেওয়া উইকিলিকসের শুরু হয়েছিল ডার্ক ওয়েবেই। শুধু তাই নয়, এখানে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ চাইল্ড পর্নোগ্রাফি কিংবা এর চেয়ে ভয়ঙ্কর সব বিষয় মিলবে সহজেই। পতিতা ভাড়া করা কিংবা সারফেস ওয়েবে নিষিদ্ধ যে কোনো কিছুরই সমাধান রয়েছে এখানে। আবার ধরুন কোনো বই নিষিদ্ধ কিংবা পাইরেটেড বই-মুভি সবকিছুরই সংগ্রহ রয়েছে ডার্ক ওয়েবে। বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টও পাওয়া যায় স্বল্প দামে। বিশ্বের যে কোনো দেশের অবৈধ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা এরকম গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট ডুপ্লিকেট কপি তৈরিতে ওস্তাদ ডার্ক ওয়েব। অবৈধ অস্ত্র, গোলা-বারুদ তৈরির উপায় জানা যাবে এখান থেকে। টর্চার, রেপ, বিকৃত রুচির মানুষের বিচরণ রয়েছে ডার্ক ওয়েবের নানা সাইটে। যারা টাকার বিনিময়ে লাইভে অন্য মানুষদের টর্চার হতে দেখে। বিভিন্ন মানুষকে জোর করে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এবং তা লাইভে দেখানো হয় যা এতই ভয়াবহ যে, সাধারণ মানুষ তা সহ্য করতে পারবে না। এমনকি, মানুষের ওপর মেডিকেল গবেষণা করার জন্য জ্যান্ত মানুষও পাওয়া যায়। অর্থাৎ, বিভিন্ন ছিন্নমূল মানুষ যাদের মৃত্যু হলেও কেউ টের পাবে না, এদের ধরে এনে অমানবিক গবেষণা চালানো হয়। ডার্ক ওয়েবে বেশকিছু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তাদের কর্মকাণ্ড চালায় বলে তথ্য রয়েছে। আবার অনেক ভালো কিছু আছে এখানে। যেমন বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ পেপার। সাধারণ ওয়েব বা সারফেস ওয়েবে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চ পেপার খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ডার্ক ওয়েব।

 

ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ বেআইনি

ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের জন্য টর [TOR] নামের একটি বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহার করা হয়। যে কেউ চাইলে তার কম্পিউটারে মজিলা কিংবা গুগল ক্রোমের মতো এই ব্রাউজারটি ইনস্টল করে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু খুব জরুরি এবং এ ধরনের বিষয়ে অভিজ্ঞ কেউ না হলে নিছক কৌতূহলবশত ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ না করাটাই উত্তম। এর অনেক কারণ রয়েছে, প্রথমত. ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ সম্পূর্ণ বেআইনি। আবার আপনি যদি নেহাত কৌতূহলবশত ডার্ক নেটে প্রবেশ করেন তাহলে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস অ্যাটাক হতে পারে। সেই সঙ্গে এরা এমন সব সফটওয়্যার ইনস্টল করতে বলে, যা কম্পিউটারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, অনির্দিষ্ট সার্ভারে কপি হয়ে যেতে পারে আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য। ডার্ক নেটের সাইটগুলোর নামও থাকে খুব উদ্ভট ধরনের। মনে হয় কেউ বুঝি ভুলে উল্টা-পাল্টা টিপাটিপি করেছে। সারফেস ওয়েবে যেমন কোনো অনিরাপদ সাইটে প্রবেশ করতে চাইলে ব্রাউজার বাধা দেয়, সতর্ক করে। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে এরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। ডার্ক ওয়েবে আপনাকে ব্রাউজ করতে হবে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে। অনেক ক্ষেত্রে অচেনা-অজানা ব্যবহারকারী ও প্রফেশনাল হ্যাকাররা ওঁৎ পেতে থাকে। তাই, নিছক কৌতূহল থেকে ডার্ক ওয়েব নিয়ে না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

ডার্ক ওয়েব কি সত্যি অস্পৃশ্য

কেউ যদি মনে করেন যে, ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, তাহলে সেটি কিন্তু ভুল। ২০১১ সালে খোদ টর ব্রাউজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, এটি আসলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার নিজস্ব প্রোডাক্ট। মূলত অপরাধীদের শনাক্ত করতেই এটিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ডার্ক নেটে প্রবেশ করতে হয় অনিয়ন নেটওয়ার্কের টর ব্রাউজারের মাধ্যমে। টর ব্রাউজারের ডিফল্ট সেটিং ব্যবহারকারীর পরিচয় লুকিয়ে রাখে। যখন কেউ এটি দিয়ে কোনো সাইটে ঢুকতে যাবে, তখন টর এই অনুরোধটি জটিল এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে। অনিয়ন প্রক্সি এই ডাটা নিয়ে আবার সাধারণ রাউটারে যাবে। সেখানে যাওয়ার আগে অনিয়ন নেটওয়ার্কের প্রবেশপথে এই ডাটা আবার এনক্রিপশনের ভিতর দিয়ে যায় এবং অনিয়নের একাধিক রাউটার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেটি আবারও এনক্রিপ্টেড হয়। ফলে এখানে ডাটা চুরি করে এর প্রেরক এবং প্রাপক চিহ্নিত করা অনেক কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব নয়। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ‘সিল্ক রোড’। মাদকদ্রব্য বেচাকেনার সবচেয়ে বিখ্যাত অনলাইন ব্ল্যাক মার্কেট সিল্ক রোড ২০১১ সালে ডার্ক ওয়েবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে এফবিআই ওয়েবসাইটটিকে বন্ধ করে দেয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা রস উইলিয়াম উলব্রিচকে গ্রেফতার করে। ফলে ডার্ক ওয়েবকে একেবারে অস্পৃশ্য ভাবার কোনো কারণ নেই।

 

ডার্ক নেটের মুদ্রা বিটকয়েন

১ বিটকয়েন =

৩১৮, ৯৭১.১৫ টাকা

ডার্ক ওয়েবে লেনদেনের জন্য বিটকয়েন নামক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট অবলম্বনে ১ বিটকয়েন = ৩১৮, ৯৭১.১৫ বাংলাদেশি টাকা বলে জানা গেছে। কেবল ডার্কনেট নয়, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে।

বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। তবে এটিই একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েন অন্যতম জনপ্রিয়। বিটকয়েনের সাফল্যের পর এরকম হাজারখানেক ভার্চুয়াল মুদ্রা চালু করা হয়। তবে এই মুদ্রাগুলো খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি। অধিকাংশ মুদ্রাই বিফল হয়েছে। তবে এ থেকে ভার্চুয়াল মুদ্রানির্ভর আর্থিক ব্যবস্থার ধারণা আরও প্রকট হয়।

তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে। এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিতি পায়। নাকামোতোর উদ্ভাবিত সে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন। বিটকয়েন লেনদেনে কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি (পিয়ার-টু-পিয়ার) আদান-প্রদান হয়। লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতি।

এখনো অনেক দেশে মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটকয়েন। ফলে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন সম্ভব। অর্থাৎ সরবরাহ সীমিত। সে জন্যই বিটকয়েনকে সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। খনি থেকে উত্তোলনের একপর্যায়ে গিয়ে যেমন সোনার সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে। এরপর উত্তোলিত  সোনার বিকিকিনি হতে পারে। তবে নতুন করে উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। বিটকয়েনের ধারণাও তা-ই। অ্যালগরিদমের সমাধানের মাধ্যমে বিটকয়েন ‘উত্তোলন’ করতে হয়, যা বিটকয়েন মাইনিং হিসেবে পরিচিত। আর বর্তমান হারে চলতে থাকলে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েন মাইনিং করতে ২১৪০ সাল লেগে যাবে।

বিটকয়েনের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় এর ভগ্নাংশ সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে। অর্থাৎ বিটকয়েনের ভগ্নাংশ কেনাও সম্ভব। উদ্ভাবকের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিটকয়েনের ভগ্নাংশ সাতোশি নামে পরিচিত। এক বিটকয়েনের ১০ কোটি ভাগের এক ভাগ হলো এক সাতোশি।

 

নিরাপত্তার খাতিরেই ডার্ক ওয়েবের ধারণা

সাধারণ ব্যবহারকারীদের অনেকেই প্রক্সি/ভিপিএন শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত। বিশেষ করে আমাদের দেশে যখন ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এগুলোর কাজ আসলে কী? এগুলো ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের আইপি [ক্লায়েন্ট আইপি] এবং যে সার্ভারে তথ্য পাঠানো হচ্ছে সেই সার্ভারের আইপির মাঝে একটা মধ্যবর্তী আইপি হিসেবে কাজ করে। ফলে সার্ভার সাইড আইপি থেকে মনে হয় যেন মধ্যবর্তী আইপি থেকেই রিকোয়েস্ট আসছে। ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপনের জন্য মধ্যবর্তী একটা ধাপ ব্যবহার করে। ভিপিএন বা প্রক্সি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট অ্যাকটিভ থাকলে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট কানেকশনের প্রকৃত আইপি অ্যাড্রেসকে লুকিয়ে রাখছে। আর এই ধারণারই উন্নততর জটিল এবং এনক্রিপ্টেড সিস্টেম অনুসরণ করা হয় টর ব্রাউজারে। যেটি আগেই বলা হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন ডার্ক ওয়েবে এত অপরাধ সংঘটিত হলে এর প্রয়োজনটা আসলে কী? প্রয়োজন একেবারে ফেলনা নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিরাপত্তার খাতিরেই ডার্ক ওয়েব ধারণাটির জন্ম হয়েছে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এমন অনেক গোপন বিষয় থাকে যেগুলো সাধারণের কাছে লুকিয়ে রাখা জরুরি। যেমন : গোয়েন্দারা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মী বা সাধারণ মানুষও নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে চায় গোপনীয়তার সঙ্গে। এর বাইরে মানবাধিকার কর্মী, হুইসেলব্লোয়ার (যারা বিভিন্ন সেনসেটিভ ব্যাপারে তথ্য ফাঁস করে), সমাজকর্মী, কোনো রাজনৈতিক বা অন্য উদ্দেশ্যে গড়া দল যারা নিজেদের সংগঠনকে প্রকাশ্যে না নিয়ে এসে গোপনে কার্যক্রম চালাতে চায়। এমন আরও অনেক কমিউনিটি আছে যারা নিজেদের গোপন রাখতে চায়। এগুলো অবশ্য ভালো কাজের নানাদিক। মূলত এই তথ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ধারণা থেকেই ডার্ক নেটের জন্ম। আর যেহেতু যে কোনো ভালো উদ্যোগকেই অপরাধী বা ক্রিমিনালরা খারাপভাবে ব্যবহার করতে পারে, এখানেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। গোপনীয়তা এবং ক্রিপ্টাকারেন্সি মুদ্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে লেনদেনের সুবিধা থাকায় অপরাধীরা বেছে নিচ্ছে ডার্ক ওয়েবকে।

 

একঝলকে ইন্টারনেট

এই বিভাগের আরও খবর
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
লোকমুখে দিবর দিঘির কল্পকথা
লোকমুখে দিবর দিঘির কল্পকথা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
সর্বশেষ খবর
ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগের ১২ সদস্য গ্রেফতার
ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগের ১২ সদস্য গ্রেফতার

এই মাত্র | নগর জীবন

কলাপাড়ায় ১৪ জেলে আটক
কলাপাড়ায় ১৪ জেলে আটক

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নুরাল পাগলের দরবারে হামলার এক সপ্তাহ পর ওসির বদলি
নুরাল পাগলের দরবারে হামলার এক সপ্তাহ পর ওসির বদলি

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে ধানের ব্লাস্ট রোগ বিষয়ক কর্মশালা
বরিশালে ধানের ব্লাস্ট রোগ বিষয়ক কর্মশালা

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে ফুটবল ম্যাচ ঘিরে সংঘর্ষে ইউএনওসহ আহত ৫০
কক্সবাজারে ফুটবল ম্যাচ ঘিরে সংঘর্ষে ইউএনওসহ আহত ৫০

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মানহীন রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানের ছড়াছড়ি বরিশালে
মানহীন রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানের ছড়াছড়ি বরিশালে

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে হত্যা
জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে হত্যা

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার
নওগাঁয় বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‌‘শাপলা-গণহত্যায় শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে’
‌‘শাপলা-গণহত্যায় শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে’

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেলের জালে ধরা পড়ল ৩০ কেজি ওজনের ট্রেভ্যালি ফিশ
জেলের জালে ধরা পড়ল ৩০ কেজি ওজনের ট্রেভ্যালি ফিশ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতায় চট্টগ্রাম নগর সাজবে পিংক কালারে
ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতায় চট্টগ্রাম নগর সাজবে পিংক কালারে

৫৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টেকনাফে মানব পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক
টেকনাফে মানব পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুব সমাজ কোনো রক্তচক্ষু মেনে নিবে না: হেলাল
যুব সমাজ কোনো রক্তচক্ষু মেনে নিবে না: হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি জাতির প্রাণশক্তি : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা
খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি জাতির প্রাণশক্তি : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাপানে শতবর্ষীর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড, ৯০ শতাংশই নারী
জাপানে শতবর্ষীর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড, ৯০ শতাংশই নারী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংগ্রাম চলবে : নবীউল্লাহ নবী
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংগ্রাম চলবে : নবীউল্লাহ নবী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন শচীন
গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন শচীন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানবিক ও সম্প্রীতির রাঙ্গুনিয়া গড়ার লক্ষ্যে যুবদলের সমাবেশ
মানবিক ও সম্প্রীতির রাঙ্গুনিয়া গড়ার লক্ষ্যে যুবদলের সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবে বিএনপি: ড্যাব সহ-সভাপতি
ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবে বিএনপি: ড্যাব সহ-সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফুটবল বিশ্বকাপ : টিকিট পেতে ২৪ ঘণ্টায় আবেদন দেড় মিলিয়ন
ফুটবল বিশ্বকাপ : টিকিট পেতে ২৪ ঘণ্টায় আবেদন দেড় মিলিয়ন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ফেরেশতে’
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ফেরেশতে’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানীতে বস্তাবন্দী নারীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীতে বস্তাবন্দী নারীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সিলেটে ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটে ভারতীয় পণ্য জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আমরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই : ডা. শাহাদাত
আমরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই : ডা. শাহাদাত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না ৮ ঘণ্টা
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না ৮ ঘণ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু
জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলি হামলা থেকে যেভাবে প্রাণে বেঁচে যান হামাস নেতারা
ইসরায়েলি হামলা থেকে যেভাবে প্রাণে বেঁচে যান হামাস নেতারা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল কি পুরো বিশ্বকেই যুদ্ধের ময়দান বানাচ্ছে?
ইসরায়েল কি পুরো বিশ্বকেই যুদ্ধের ময়দান বানাচ্ছে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কার্ক কেন খুন হলেন, কী ঘটেছিল, কে ছিলেন তিনি?
ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কার্ক কেন খুন হলেন, কী ঘটেছিল, কে ছিলেন তিনি?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাজি নেপালের রাষ্ট্রপতি, পার্লামেন্ট ভাঙতে আপত্তি
কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাজি নেপালের রাষ্ট্রপতি, পার্লামেন্ট ভাঙতে আপত্তি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসুর চূড়ান্ত ফল রাত ১১টার মধ্যে ঘোষণার আশা নির্বাচন কমিশনের
জাকসুর চূড়ান্ত ফল রাত ১১টার মধ্যে ঘোষণার আশা নির্বাচন কমিশনের

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইরানের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার নিচে এখনো রয়েছে পারমাণবিক উপাদান : আব্বাস আরাঘচি
ইরানের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার নিচে এখনো রয়েছে পারমাণবিক উপাদান : আব্বাস আরাঘচি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন কোনও নির্বাচন আয়োজন উচিত নয়, যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে : ডা. জাহিদ
এমন কোনও নির্বাচন আয়োজন উচিত নয়, যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে : ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাতারে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা
কাতারে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বড় জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
বড় জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বর্ণের স্মারক মুদ্রার দাম বেড়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা
স্বর্ণের স্মারক মুদ্রার দাম বেড়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একটি ইলিশ বিক্রি ৮ হাজার ৭৫০ টাকায়
একটি ইলিশ বিক্রি ৮ হাজার ৭৫০ টাকায়

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ড্রোন হামলার পর পোল্যান্ডের আকাশ সীমায় নিষেধাজ্ঞা
ড্রোন হামলার পর পোল্যান্ডের আকাশ সীমায় নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাড়ে ৬ ঘণ্টায় ৪ হলের ভোট গণনা
সাড়ে ৬ ঘণ্টায় ৪ হলের ভোট গণনা

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব : জাকসু নির্বাচন কমিশন
শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব : জাকসু নির্বাচন কমিশন

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট : প্রেস সচিব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে জেন-জিদের প্রথম পছন্দ সুশীলা কার্কি
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে জেন-জিদের প্রথম পছন্দ সুশীলা কার্কি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন দিনেও ভোট গণনা শেষ হবে না, ক্ষোভ ঝাড়লেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
তিন দিনেও ভোট গণনা শেষ হবে না, ক্ষোভ ঝাড়লেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শিক্ষক মোনামির কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন ছাত্রদল নেতা হামিম
শিক্ষক মোনামির কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন ছাত্রদল নেতা হামিম

২ ঘণ্টা আগে | টক শো

সাগরে আবার লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টি
সাগরে আবার লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদীর মণিপুর সফর ঘিরে পুলিশ-স্থানীয় জনতার সংঘাত
মোদীর মণিপুর সফর ঘিরে পুলিশ-স্থানীয় জনতার সংঘাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু : কেন এমন হলো
ডাকসু : কেন এমন হলো

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ সেপ্টেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিলে এক লাখ ডলার পুরস্কার
চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিলে এক লাখ ডলার পুরস্কার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধীতায় নেতানিয়াহু
ফের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধীতায় নেতানিয়াহু

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোন বিকল্প আমাদের হাতে নেই : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোন বিকল্প আমাদের হাতে নেই : প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচন সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন উপাচার্য
ডাকসু নির্বাচন সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন উপাচার্য

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শনিবার যেসব এলাকায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
শনিবার যেসব এলাকায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

চড়া দামের কারণে বিক্রি হচ্ছে না ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট
চড়া দামের কারণে বিক্রি হচ্ছে না ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
উপদেষ্টা পরিষদে আসছে রদবদল, যুক্ত হচ্ছে নতুন মুখ
উপদেষ্টা পরিষদে আসছে রদবদল, যুক্ত হচ্ছে নতুন মুখ

প্রথম পৃষ্ঠা

জাকসুতে ভোট কেলেঙ্কারি
জাকসুতে ভোট কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

পানির নিচে বিমানবন্দর
পানির নিচে বিমানবন্দর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির মনোনয়ন চান  হেভিওয়েট দুই নেতা
বিএনপির মনোনয়ন চান হেভিওয়েট দুই নেতা

নগর জীবন

চলে না স্পিডবোট তবু মাসে বরাদ্দ ২০০ লিটার তেল
চলে না স্পিডবোট তবু মাসে বরাদ্দ ২০০ লিটার তেল

নগর জীবন

ময়দানে বিএনপির সম্ভাব্য ছয় প্রার্থী, এককভাবে অন্যরা
ময়দানে বিএনপির সম্ভাব্য ছয় প্রার্থী, এককভাবে অন্যরা

নগর জীবন

পবিসের গণছুটির পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র
পবিসের গণছুটির পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেনাদার থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
দেনাদার থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে তৃণমূল শক্তিশালী করার মিশনে বিএনপি
সিলেটে তৃণমূল শক্তিশালী করার মিশনে বিএনপি

নগর জীবন

হাসিনার পতন থেকে লন্ডন পর্যন্ত অর্থ পাচারের তথ্যচিত্র
হাসিনার পতন থেকে লন্ডন পর্যন্ত অর্থ পাচারের তথ্যচিত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

লাখ টাকার ঢাই মাছ
লাখ টাকার ঢাই মাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান নিয়ে ঐকমত্য হয়নি
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান নিয়ে ঐকমত্য হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক
ফের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

সার্বিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
সার্বিয়া ছাড়লেন জকোভিচ

মাঠে ময়দানে

আরশ-সুনেরাহর ‘আরেক জন্মে’
আরশ-সুনেরাহর ‘আরেক জন্মে’

শোবিজ

চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমানের নিন্দা
চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমানের নিন্দা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প নেই
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশ প্রশাসনে বড় রদবদলে চোখ
পুলিশ প্রশাসনে বড় রদবদলে চোখ

প্রথম পৃষ্ঠা

বহুরূপী ঈগল
বহুরূপী ঈগল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবরোধে অচল রাজধানী
অবরোধে অচল রাজধানী

পেছনের পৃষ্ঠা

১৭ বিয়ে করা বন কর্মকর্তার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
১৭ বিয়ে করা বন কর্মকর্তার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

পেছনের পৃষ্ঠা

উন্নয়নের চাপে দুর্ভোগে নগরবাসী
উন্নয়নের চাপে দুর্ভোগে নগরবাসী

নগর জীবন

হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের
বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচিত বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা
আলোচিত বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

নেপালে অস্থিরতা দুশ্চিন্তায় ভারত
নেপালে অস্থিরতা দুশ্চিন্তায় ভারত

পূর্ব-পশ্চিম

৪০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩৫
৪০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩৫

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলোর সঙ্গে হবে নির্বাচনি সংলাপ
দলগুলোর সঙ্গে হবে নির্বাচনি সংলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা