জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত ‘ছ’ ও ‘জ’ ধারাকে বৈষম্যমূলক দাবি করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে (কুভিক) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার কলেজের ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ ম্যুরালের সামনে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী এ মানববন্ধন করে। এসব ধারা এক সপ্তাহের মধ্যে বাতিল না করলে লাগাতার কর্মসূচি পালনসহ সড়ক-মহাসড়ক ও রেললাইন অবরোধের হুমকি দিয়েছি শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সিলেবাস শেষ না হওয়ার আগে পরীক্ষা নেওয়াকেও অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি তারা শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী নয়, শিক্ষার্থী হতে চায়। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করে তারা।
মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের ছাত্র কাজী সিরাজ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত ‘ছ’ ও ‘জ’ ধারা বৈষম্যমূলক। হঠাৎ করে ২০১৩-১৪ বর্ষের উপর ‘ছ’ ও ‘জ’ ধারা কার্যকর করা হয়েছে, যা পূর্বে ঘোষণা ছিল না। এ ধারা বাতিল না করলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হবে। এ ধরনের অযৌক্তির নিয়ম হঠাৎ করে চাপিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। এই ধারা বাতিল না করলে লাগাতার কর্মসূচি পালনসহ সড়ক-মহাসড়ক ও রেললাইন অবরোধ করা হবে।
উল্লেখ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ এর ৪৬ ধারা মোতাবেক প্রণীত স্নাতক সংশোধিত রেগুলেশনের ২০০৯-১০ সেশনের অনার্স পরীক্ষার রেগুলেশনের ‘ছ’ এবং ‘জ’ ধারার ‘ছ’ তে বলা হয়েছে, ১ম বর্ষে সকল কোর্সের কোন বিষয়ে 'ডি' বা এর বেশি না পাওয়া পর্যন্ত ৩য় বর্ষে পরীক্ষা দিতে পারবে কিন্তু ফলাফল স্থগিত থাকবে। ‘জ’ ধারায় বলা আছে যে ১ম ও ২য় বর্ষে 'ডি' বা এর বেশি না পেলে চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষা দিতে পারবে না। কিন্তু এটা চালু হওয়ায় কথা ছিল ২০০৯-১০ সেশনে থেকে। পূর্বে এ নিয়ম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে পারেনি। হঠাৎ করে ২০১৩-১৪ বর্ষের উপর তা কার্যকর করা হয়েছে যা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই।
বিডি প্রতিদিন/৩০ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল