জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে ঘিরে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। আজ ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সকাল ৬ টা থেকে আমবাগান, গেরুয়া, ইসলামনগর বিশমাইল টহল দিয়েছে নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ডেইরি গেইটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। রায়ের পর আনন্দ মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বিভাগগুলোতে তেমন শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন বিভাগে পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, বেগম জিয়া ও তার কুপুত্র তারেক মিলে ইয়াতিমের টাকা আত্মসাৎ করে ভেবেছিল পার পেয়ে যাবে। কিন্তু সত্য কখনো গোপন থাকেনা। দীর্ঘদিন পর মহামান্য আদালত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। আমরা আশা করছি একটি যুগান্তকারী রায় বাংলাদেশের জনগণ উপহার পাবেন। ভবিষ্যতে আর কেউই যেন এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। ১২০ কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে গেছে ২৮ দিন। যুক্তি উপস্থাপন চলেছে ১৬ দিন। আর আসামি পক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন ৩৫ বার।
বিডি প্রতিদিন/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল