বায়োসায়েন্স বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মানউন্নয়নের লক্ষ্যে বায়োটেকনোলোজি ইনস্টিটিউট নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। চীনের হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ইনস্টিউটটি পরিচলিত হবে। এরই মধ্যে ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ আরও ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জিং ডেং এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সোবহান স্মারকে স্বাক্ষর করেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সোবহান।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সোবহান জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার নেতৃত্বে জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বায়োলজিক্যাল ইনস্টিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এফ এম আলী হায়দার ও সিরাজগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত হেনরি ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জান্নাত আরা হেনরিসহ ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চীনের হুয়াজং বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন।
সফরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি, ‘বায়োলোজি, উদ্যানতত্ব, ফসল সংরক্ষণ, একুয়াকালচার, পোস্ট হারভেস্ট প্রসেসিং টেকনোলজি ও কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা, যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ ও কৃষি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সম্মেলনের আয়োজন করাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এর আগে, ২০১২ সালে একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তাদের সাথে উল্লিখিত বিষয়ে গবেষণাসহ ১২ জন পিএইডি গবেষক প্রেরণের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তবে এই স্মারকচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সেই সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন গবেষণার সুযোগ পাবেন তেমনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবেন। একই সাথে উত্তরাঞ্চলের মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরাও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানান উপাচার্য।
শুক্রবার সকালের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, ড. চৌধুরী জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক লু’ফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার উপস্থিত ছিলেন
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর